সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ২
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:১২
ঢাকা: রাজধানীর সূত্রাপুর ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)। সূত্রাপুর থেকে গ্রেফতার ব্যক্তির নাম নাজির হোসেন, আর গাজীপুর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন কামরুজ্জামান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন তারা।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে র্যাব-৩-এর সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বীণা রাণী দাস বলেন, গ্রেফতার নাজির ও কামরুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার ও সৈনিক পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের প্রলুব্ধ করে আসছেন। তারা ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর র্যাবের একটি টিম অনুসন্ধান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়।
র্যাব জানিয়েছে, রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্য মো. নাজির হোসেনকে (৩২) ও গাজীপুরের শ্রীপুরে এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মো. কামরুজ্জামানকে (৩৩) গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, দুই বন্ধুর মধ্যে নাজির একটি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। কৌশলে সাধারণ মানুষকে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। চাকরিপ্রার্থীর বিশ্বস্ততা অর্জনের পর তিনি কামরুজ্জামানকে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতেন। কামরুজ্জামান চাকরিপ্রার্থীকে আশ্বস্ত করতেন, এর আগেও তিনি বহু ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দিয়েছেন। এই চাকরিপ্রার্থীকেও চাকরি দিতে পারবেন। তবে তার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।
নাজির ও কামরুজ্জামান জানান, গোটা ঘটনায় চাকরিপ্রার্থীর বিশ্বস্ততা অর্জনের পর তার সঙ্গে চুক্তিনামা করে পাঁচ লাখ টাকা আদায় করেন তারা। এরপর প্রার্থীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র নেন। এরপর প্রার্থীকে জানানো হয়, তাকে একটি পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তবে নিয়োগপত্র পেতে আরও দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
এভাবে সে ধাপে ধাপে চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন বলে স্বীকার করেছেন প্রতারক চক্রের সদস্যরা থাকে। তারা বলেন, একপর্যায়ে চাকরিপ্রার্থীকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতেন। এভাবেই চক্রটি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমামিরা তাদের বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর
চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আদায় প্রতারক চক্র সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা