অক্টোবরের মধ্যে সিরাম থেকে ভ্যাকসিন চায় বাংলাদেশ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:০০
ঢাকা: ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় প্রস্তুত করা কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন অক্টোবরের মধ্যে পেতে চায় বাংলাদেশ। ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ঔষধাগার মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে ভ্যাকসিন বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন সহযোগিতা করবেন। আজকেও কথা হয়েছে। উনাকে আমরা জানিয়েছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সহযোগিতা করেন, যেন অক্টোবরের মধ্যেই আমরা ভ্যাকসিন পাই। আশা করি আমরা পাব।
তিনি বলেন, কাঁচামালের অপর্যাপ্ততার কারণে সিরাম উৎপাদন জোরদার করতে পারেনি, সে কারণেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। এখন তাদের সংকট অনেকটাই কেটে গেছে, সে কারণে চুক্তির ভ্যাকসিন আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তারা অক্টোবর মাসেই চুক্তির ভ্যাকসিন আসতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে। ভ্যাকসিন পেতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও যোগাযোগ রাখছে। আশা করি অক্টোবর মাসেই ভ্যাকসিন আসবে।
তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিক্রম দোরাইস্বামী ভ্যাকসিন বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি বলেন, করোনার শুরু থেকেই আমরা বাংলাদেশের পাশে ছিলাম। করোনার রোগীদের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আইসিইউ প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন হয়। এজন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪১টি আজ বিতরণ হচ্ছে। আমি আশা করি, এগুলো করোনা মোকাবিলায় কিছুটা হলেও কাজে আসবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা আমাদের দেখিয়েছে কেউ একা ভালো থাকতে পারে না। করোনা মোকাবিলায় ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে।
বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় ভারত থেকে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সরঞ্জাম পাঠানো অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের প্রশংসা করেন বিক্রম দোরাইস্বামী।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, অন্য দেশের তুলনায় আমাদের স্বাস্থ্যসেবা অনেক ভালো। যা দেখে অনেকেই প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ১৯০টি অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকা নর্থ সিটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক ও প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেন।
এদিন ভারতের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি দেশের হাসপাতাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক ২১টি এবং উপজেলা হেলথ কেয়ারের অপারেশন প্লান থেকে আরও ৬০টি অ্যাম্বুলেন্স কেনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী উপহারের অ্যাম্বুলেন্সগুলোর চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম ও সিএমএসডির পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসবি/এএম