শিক্ষক হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:২৩
ঢাকা: শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছামাদ আজাদ হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও নয়জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামালের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডরা হলেন- নুরুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীর মাতবর, জুলহাস মাতবর ও চান মিয়া। পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্লা, আজিজুল মাতবর, ফারুক খান, আজাহার মাতবর, মীজান মীর, আকতার গাজী, জলিল মাতবর, এমদাদ মাতবর ও লাল মিয়া। দণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন আজিবর বালী, আব্দুল খন্দকার, খোকন বেপারী, আজাহার মোল্লা ও ছোরাব মোল্লা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন আব্দুস ছামাদ আজাদ। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লার কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর জন্য তিনি এলাকায় পোস্টারিং করে আসছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হালিম মোল্লা হুমকিও দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি শিক্ষক ছামাদ আজাদ সন্ধ্যা সাতটার দিকে শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন লক্ষ্মীর মোড়ের বাবুল মুন্সির কোকারিজের দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তার ওপর আসার পরই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লা ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিবর বালীসহ ৩০ জন এবং অজ্ঞাতামানা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে পালং থানায় একটি মামলা করেন নিহতের স্ত্রী।
২০১০ সালের ১৪ আগস্ট একই থানার এসআই শহীদুল ইসলাম ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে মামলাটি নারাজির ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তে যায়। অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১১ মে একই থানার এসআই সুলতান মাহমুদ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
সারাবাংলা/এআই/এএম