ট্রাম্পের হামলার খবর আগেই চীনকে দিতে চেয়েছিলেন ইউএস জেনারেল
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:০৩
চীনের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিতে চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন মনোভাবের ইঙ্গিত পেয়ে চীনা সামরিক নেতাদের গোপনে সতর্ক করে দিয়েছিলেন ট্রাম্পেরই শীর্ষ সামরিক এক উপদেষ্টা। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের অস্থিরচিত্তের আঁচ পেয়ে তার সামরিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও সীমিত করে দিয়েছিলেন ওই জেনারেল। ওয়াশিংটন পোস্টের কিংবদন্তী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড এবং বর্ষীয়ান প্রতিবেদক রবার্ট কোস্টার রচিত বই ‘পেরিল’-এ এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের যুগ্ম চিফ অব স্টাফ ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল মার্ক মিলে চীনের জেনারেল লি জৌচেং-এর কাছে ফোন করেন। উল্লেখ্য যে, এর চার দিন পরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ফের চীনের জেনারেলের সঙ্গে ফোনালাপ করেন মার্কিন জেনারেল মার্ক মিলে। ওই দিনটির দুই দিন আগে ট্রাম্প সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা স্থিতিশীল এবং চীনে পেন্টাগন কোনো হামলা চালাবে না বলে বেইজিংয়ের জেনারেলদের আশ্বস্ত করতেই এসব ফোন করেন মার্ক মিলে। তিনি বেইজিংয়ের সামরিক নেতাদের আশ্বাস দিয়ে জানান, ট্রাম্প আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সময়ের আগেই প্রতিপক্ষকে সতর্ক করা হবে।
গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার পরপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল মার্ক মিলে প্রেসিডেন্টের সামরিক আদেশ এবং পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষমতা কমিয়ে আনতে গোপনে পদক্ষেপ নেন। জেনারেল মার্ক মিলে আশঙ্কা করেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপজ্জনক কোনো সামরিক হামলা বা পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারের আদেশ দিতে পারেন।
৮ জানুয়ারি জেনারেল মিলে পেন্টাগন কার্যালয়ে একটি গোপন বৈঠক ডাকেন। পেন্টাগনের যুদ্ধ কক্ষে ন্যাশনাল মিলিটারি কমান্ড সেন্টারের দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে জেনারেল মিলে তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তিনি সরাসরি জড়িত না থাকলে কর্মকর্তারা যেন অন্য কারো কাছ থেকে কোনো সামরিক আদেশ গ্রহণ না করেন।
ওই গোপন বৈঠকে জেনারেল মার্ক মিলে পেন্টাগনের সামরিক কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘আপনাদের যাই বলা হোক না কেন, আপনারা সামরিক রীতি অনুসরণ করবেন। এবং আমি এই কার্যপ্রণালীর সঙ্গে যুক্ত।’
সারাবাংলা/আইই