বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে রুল
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৪৬
ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এইচআরপিবির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মানজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফৌজিয়া আখতার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
মনজিল মোরসেদ জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়ে আবেদন করা হয়।
পরে হলফনামা আকারে দুদক জানায়, অনুসন্ধানে কিছু না পাওয়ায় ১৭ সিবিএ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এরপর আদালত পুরো নথি তলব করেন।
তলব করা নথিতে দেখা যায়, ১৭ সিবিএ নেতার সম্পদের বিষয়ে ব্যাংক, বিমা, রেজিস্ট্রি অফিসসহ অন্যান্য উৎসে অনুসন্ধান হয়নি। তখন যথাযথ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে আবার সম্পূরক আবেদন করা হলে আদালত আজ ওই রুল জারি করেন। দুদকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিমানের ১৭ সিবিএ নেতারা হলেন মো. মসিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারী, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার, মো.আবুল কালাম, আসমা খানম ও মো. আবদুল আজিজ।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে