Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জিএসপি প্লাস সুবিধা ইইউ’র রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৫৯

ঢাকা: বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস (GSP+) দেওয়ার বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার, কারখানার নিরাপত্তা, শিশুশ্রম ও সুশাসন বিষয়ে ইইউ’র প্রশ্ন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জিএসপি প্লাস (GSP+) সুবিধা পেতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাজার সুবিধা পাচ্ছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের চূড়ান্তভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটলে বর্তমান জিএসপি আইন অনুযায়ী তিন বছর ট্রানজিশন টাইম পাওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৯ সালের পর ইইউ’তে যাতে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখা যায় সেজন্য নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’

মন্ত্রী জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাহিদা অনুযায়ী ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর লেবার সেক্টর (National Action Plan for the labour sector) প্রণয়ন করে পাঠানো হয়েছে। জিএসপি প্লাসের শর্ত পূরণে মিনিমাম এইজ কনভেনশন, ১৯৭৩ (সি১৩৮) সইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইইউ’র বাংলাদেশের শ্রম অধিকার, কারখানার নিরাপত্তা, শিশুশ্রম ও সুশাসন বিষয়ক বিভিন্ন জিজ্ঞাসা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এসব জিজ্ঞাসার সন্তোষজনক জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে কি না- সেটা তাদের রাজনৈতিক বিবেচনার ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া ইইউ নতুন করে জিএসপি রেগুলেশন প্রণয়ন করছে। ওই রেগুলেশনের আওতায় বাংলাদেশ যাতে জিএসপি প্লাস সুবিধা পায় সেজন্য সরকার কাজ করছে।’

বিজ্ঞাপন

সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পণ্য রফতানি করে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছয় হাজার ৯৭৪ দশমিক শূন্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করা হয়েছে। অপরদিকে, বাংলাদেশ চীন থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে। ২০২০-২১ অর্থবছরে চীন থেকে ১১ হাজার ৮৩০ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিকন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

ইইউ জিএসপি প্লাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর