নির্বাচন পর্যবেক্ষণে রাশিয়ায় গেলেন সিইসি
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:২৫
ঢাকা: রাশিয়ার জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে দেশটিতে সাতদিনের সফরে গেলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টায় এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮৩ নম্বর ফ্লাইটে দেশটির উদ্দেশে উড়াল দেন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছেন একান্ত সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ইসির যুগ্ম সচিব মো. আবুল কাসেম।
এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের কাছে ইসির সেবা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শামসুল হক ফৌজদারের পাঠানো এক চিঠি থেকে জানা গেছে, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটে বিকেল সাড়ে ৫টায় সিইসি দেশে ফিরবেন।
রাশিয়ার জাতীয় সংসদ রাশিয়ান ফেডারেল অ্যাসেম্বলির নিম্নকক্ষ ‘স্টেট দুমা (State Duma)’-এর ভোট পর্যবেক্ষণ করতে রাশিয়ায় সাতদিন থাকবেন সিইসি। ১৭ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন সিইসি। এরপর অন্যান্য কাজ সেরে দেশে ফিরবেন তিনি। স্টেট দুমা নির্বাচনেও যন্ত্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। তবে সেখানে বাংলাদেশের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয় না। সেখানে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিস্টেমে (অপটিক্যাল স্ক্যান ভোটিং মেশিন) ভোট হয়। ১৯৯৫ সালে প্রথম নিম্নকক্ষের নির্বাচনে এ যন্ত্রে ভোট নেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও ভোটিং মেশিন ব্যবহার করেছে রাশিয়া, তবে তা নয় শতাংশ ভোট কেন্দ্রে। বাংলাদেশ আগামী সংসদ নির্বাচনের অধিকাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে।
সর্বশেষ স্টেট দুমা’র নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬ সালে। স্টেট দুমা’র মাধ্যমেই রাশিয়ার জনগণ তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়। এখান থেকেই নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী। তাদের ভোটেই ক্ষমতাচ্যুত হন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি। সংসদের এ কক্ষেই দেশটির আইন প্রণয়ন হয়।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন দেশের নির্বাচন যেমন পর্যবেক্ষণ করে থাকে, তেমনি বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণেও বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে বাংলাদেশ সার্কের বাইরে কোনো দেশের নির্বাচন কমিশনকে কখনও আমন্ত্রণ জানায়নি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সার্কদেশভুক্ত নির্বাচন কমিশনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকি। আবার অন্যরাও আমরাদের আমন্ত্রণ জানায়। এতে নির্বাচনের ভোটার এডুকেশন, কালচার ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়। অনেক সময় এগুলোর বাস্তবায়নও করা হয়।’
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম