থানায় আক্রমণের মামলায় হেফাজতের ৩ নেতার জামিন
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:০৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে থানায় আক্রমণসহ সহিংস তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা হেফাজতে ইসলামের তিন নেতা জামিন পেয়েছেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের হাটহাজারি পৌরসভা কমিটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মো. আরিফ তার বিরুদ্ধে থাকা তিনটি মামলায়ই জামিন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল তিনজনের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া বাকি দু’জন হলেন- হেফাজতে ইসলামের হাটহাজারি পৌরসভা কমিটিরসহ দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম এবং সদস্য মোহাম্মদ ইমরান।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মোর্শেদ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, আরিফের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা আছে। এর মধ্যে দু’টি মামলায় আগে জামিন পেয়েছেন। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার জামিন পান। জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছার পর আগামী রোববার তিনি মুক্তি পেতে পারেন।
তবে জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না তাজুল ইসলাম ও ইমরানের। আদালতের কর্মকর্তা মোর্শেদ জানিয়েছেন, ইমরানের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা আছে। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তাজুলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা আছে। এর মধ্যে একটিতে তিনি জামিন পেয়েছেন।
গত ৩ মে রাতে হাটহাজারী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। এরপর তাদের কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন গত ২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় ভাঙচুর, স্থানীয় ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগসহ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে লিপ্ত হয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ গুলি ছুঁড়লে হেফাজতে ইসলামের চার কর্মী নিহত হন। এর জেরে তিনদিন ধরে হাটহাজারী থানার অদূরে হেফাজতের মূল ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সামনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে ইটের দেওয়াল তুলে অবরোধ তৈরি করে রাখে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় মোট ১০টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের বিরোধিতার নামে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিল হেফাজতে ইসলাম, যাতে ইন্ধন দিয়েছিল বিএনপি ও জামায়াত।
সারাবাংলা/আরডি/এমও