কাপড়ের বদলে সিগারেট এনে ২৭ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: শুল্কমুক্ত সুবিধায় রফতানিযোগ্য পোশাকের কাঁচামাল আমদানির ঘোষণা দিয়ে উচ্চশুল্কের এক কোটি ১৩ লাখ বিভিন্ন ধরনের বিদেশি সিগারেট এনেছে কুমিল্লা ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানা। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ২৭ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে বলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআরআই) শাখার কর্মকর্তারা সন্দেহজনক দু’টি আমদানি কনটেইনার খুলে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করে।
বৃহস্পতিবার কায়িক পরীক্ষার ফলাফলে কাস্টমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কনটেইনার দু’টিতে ৫৬৫টি কার্টনের প্রতিটিতে সিগারেটের ২টি করে অভ্যন্তরীণ কার্টন পাওয়া গেছে। এতে বিদেশি ৩টি ব্র্যান্ডের এক কোটি ১৩ লাখ সিগারেটের শলাকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আছে- ৪৪ লাখ ইজি, ৩৭ লাখ এক্সএসও এবং ৩২ লাখ অরিস।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআরআই শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, কুমিল্লা রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) বাংলাদেশ টেক্সটাইল অ্যান্ড কেমিক্যাল ফাইবার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাপড় ও কাপড়ের সরঞ্জাম ঘোষণা দিয়ে দুই কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি করে তৈরি পোশাক রফতানির শর্তসাপেক্ষে অর্থাৎ বন্ড সুবিধায় চীনের সাংহাই বন্দর থেকে দুই কনটেইনার গত ১১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
১৩ সেপ্টেম্বর আমদানিকারকের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট আলমগীর অ্যান্ড সন্স পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন। কিন্তু সন্দেহজনক পণ্যের উপস্থিতির গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমসের এআরআই শাখা কনটেইনার দু’টি লক করে দেয়। এরপর বুধবার শুরু হওয়া কায়িক পরীক্ষা শেষ হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘মিথ্যা ঘোষণায় যেসব সিগারেট আনা হয়েছে তার দাম প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। উচ্চশুল্কের সিগারেট মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২৭ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছিল। এআরআই শাখার কঠোর নজরদারির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমও