‘নারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার তাঁদের সক্ষমতা অনুসন্ধান করা’
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:০৩
ঢাকা: নারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার তাঁদের সক্ষমতা অনুসন্ধান করা। তাঁরা তাঁদের পারিবারিক দায়িত্ব অবশ্যই সামলাবেন। কিন্তু নিজেদের পেশার প্রতিও যত্নবান হবেন। বড় জায়গায় যেতে হলে নয়টা থেকে পাঁচটা অফিসের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলে না।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সংলাপে এ কথা বলেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)-এর বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী। এই সংলাপের আয়োজন করে র্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন।
ড. কাদরী বলেন, নারীদের লড়াই বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে শুধু নয়, সারা বিশ্বেই রয়েছে। এ লড়াই অনেক কঠিন। এতে ধৈর্য, সহনশীলতা, দায়িত্বশীলতা দরকার। দায়িত্ব শুধু কাজের ক্ষেত্রে নয়, পরিবারের সব সদস্যের প্রতিও তা পালন করা দরকার। তবে লড়াইটা বেশ কঠিন।
তিনি বলেন, বিজ্ঞানচর্চায় এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার তাঁদের সক্ষমতা অনুসন্ধান করা। তাঁরা তাঁদের পারিবারিক দায়িত্ব অবশ্যই সামলাবেন। কিন্তু নিজেদের পেশার প্রতিও যত্নবান হবেন। বড় জায়গায় যেতে হলে নয়টা থেকে পাঁচটা অফিসের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলে না।
নতুন প্রজন্মের যারা বিজ্ঞানের কাজে আসতে চান তাদের উদ্দেশ্যে ড. ফেরদৌসী কাদরী বলেন, নতুন প্রজন্মের ছেলে–মেয়ে সবার জন্যই বার্তা দিতে চাই। তা হলো, বিজ্ঞানের অর্জনটা দীর্ঘমেয়াদি। এখন অনেকেই বাণিজ্য শাখায় লেখাপড়া করে অর্থ উপার্জন করতে চায়। এটা অবশ্য দোষের কিছু নয়। অনেকের পারিবারিক দায়বদ্ধতা থাকে। সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করা যায় না।
ফেরদৌসী কাদরী বলেন, আমি মনেপ্রাণে একজন বাংলাদেশি। মানুষের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় আমি বর্তমান পর্যায়ে আসতে পেরেছি। পেয়েছি স্বামীসহ পরিবারের সবার অকুণ্ঠ সহযোগিতা। আমার প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবির সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতাও আমি পেয়েছি।
উল্লেখ্য, কলেরা এবং টাইফয়েডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ড. ফেরদৌসী কাদরী। সেই ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ৩১ আগস্ট এশিয়ার নোবেল খ্যাত র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারের জন্য ড. ফেরদৌসী কাদরী’র নাম ঘোষণা করা হয়।
সারাবাংলা/এসবি