চরম দুরবস্থায় শেকৃবি চিকিৎসা কেন্দ্র
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:১০
ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে দীর্ঘ বিরতির পরে অক্টোবরে শুরুতেই খুলতে যাচ্ছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকবে মেডিকেল সেন্টারের ওপর। কিন্তু শেকৃবি চিকিৎসা কেন্দ্রের অবস্থা করুন। পদের বিপরীতে নেই যথেষ্ট মেডিকেল অফিসার। নেই কোনো আইসোলেশনের ব্যবস্থাও।
শনিবার (১৮ সেপ্টম্বর) শেকৃবি’র মেডিকেল সেন্টারের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা.খন্দকার মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডা. মো. শহিদুল জানান,‘শেকৃবি ক্যাম্পাসে অনেক বড় বড় কাজ হলেও মেডিকেল সেন্টারের উন্নতি নিয়ে কারও কোনো চিন্তা নেই। একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ মেডিকেল সেন্টার বলতে যা বোঝানো হয় তার কিছুই নেই এখানে। শুধুমাত্র কিছু ওষুধপত্র ও দুইজন ডাক্তার দিয়ে কোনোভাবে চলছে এই মেডিকেল সেন্টার।
তিনি আরও বলেন,ক্যাম্পাসে টিএসসিসহ অনেক বড় বড় হল হচ্ছে। এছাড়াও অনেক কাজ হচ্ছে। কিন্তু কেউ মেডিকেল সেন্টারের প্রয়োজনীয় কাজ নিয়ে কথা বলছে না। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো নিয়ে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান করেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কেন কোনো আইসোলেশন সেন্টার নেই- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান মেডিকেল অফিসার বলেন, ‘আইসোলেশন সেন্টার করা হলে এটা পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট লোকবল নেই।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছয়জন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন দুইজন এবং মোট ১৭টি পদের বিপরীতে ৪-৫টি পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকি পদগুলো ফাঁকাই রয়েছে। তাছাড়া চিকিৎসা কেন্দ্রের রুম গুলোর অবস্থাও নাজুক। বৃষ্টির সময় পানি আসে বলেও অভিযোগ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করা হবে। চিকিৎসা কেন্দ্রের বাজেট বাড়ানোর জন্য ইউজিসি বরাবর চিঠি দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে বাজেট বাড়ানোর জন্য কোনো সুপারিশ না আসায় হতাশা প্রকাশ করেন অনেকে। তাছাড়া আইসোলেশন সেন্টারের জন্য মেডিকেল অফিসারদের থেকে কোনো সুপারিশ আসেনি বলেও জানা যায়। এমনকি তাদের কাজে গাফলতি রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চিকিৎসা কেন্দ্রের এমন দুরবস্থায় হতাশা প্রকাশ করেন শেকৃবির শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রব বলেন,‘শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকেই পরামর্শ নেয়। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে সামনের দিনগুলোতে মেডিকেল সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা অনেক। এক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমাদের মেডিকেল সেন্টার কতটুকু প্রস্তুত, তা শিক্ষার্থীদের কাছে অজানা। পরিস্থিতি উন্নতি হওয়া প্রয়োজন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসোলেশন সেন্টারের প্রসঙ্গে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো শহিদুর রশিদ ভুঁইয়া বলেন,‘আইসোলেশন সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে হলগুলোতে বেসিনসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এনএস