চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষা যুগোপযোগীর বিকল্প নেই: ড. শামসুল আলম
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৪৫
ঢাকা: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় আমাদের শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার বিকল্প নেই। এরইমধ্যে ভোকেশনালসহ কারিগরি শিক্ষায় ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং কেএ স্পেস আয়োজিত ‘বাংলাদেশে মহামারির সময় শিক্ষায় অগ্রগতি ও সমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক দুইদিনের ভার্চুয়াল জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনীতে অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. আলমগীর, নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির ডিরেক্টর প্রফেসর একে তৌফিকু মি. হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ ইফনিভাসিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. ইসমাইল হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাতীয় এই সেমিনারের উদ্দেশ্য হল অভিজ্ঞতা ভাগ করা এবং এসডিজির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা ও ন্যায়সঙ্গত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সকলের জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগ প্রচার করা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.শামসুল আলম বলেন, ‘২০১৮ সালে গড় প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ছিল ৭৭ শতাংশ, আমরা ২০২৫ সালে লক্ষ্য করেছি এটি শতভাগ হবে। বাংলাদেশে স্কুলে পড়ার গড় বছর ছিল ৫ দশমিক ১ বছর ভারতে ৫ দশমিক ৮ বছর এবং শ্রীলঙ্কায় ১০ দশমিক ৯ বছর, যা বাংলাদেশের হারের দ্বিগুণেরও বেশি। এ ছাড়া শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬/১৭ অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের ৩১ শতাংশ জনসংখ্যার প্রাথমিক শিক্ষা নেই। এটা হচ্ছে শ্রমশক্তির একটি বড় অংশ এখনও বাংলাদেশে নিরক্ষর যা আমাদের জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে গ্রহণ করার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ২০০০ সালে ছিল ৮২টি। এখন বেড়ে ২০২০ সালে হয়েছে ১৫০টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে ১০৫টি। এ ছাড়াও, একই সময়ে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিতে বড় ধরনের উন্নয়ন হয়েছে। সরকার দেশে কারিগরি প্রযুক্তিগত এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাত্র ১২ দশমিক ১ শতাংশ মানুষের উচ্চশিক্ষা রয়েছে। যার মধ্যে শতকরা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ মহিলা এবং ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ পুরষ, যা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য কম মনে হয়।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকদের ওপর একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, স্নাতকধারীদের মধ্যে ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেকার রয়েছে। যা সরকারের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক অসহযোগকে প্রতিফলিত করে, এটি কীভাবে কমানো যায় তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আমাদের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে হবে। যার জন্য আমাদের শিক্ষার প্রতিটি স্তরে মানসম্মত শিক্ষা বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রম উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় চাকরির বাজারে আরও বেশি নারী আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার জন্য পুরষ-পুরুষ অনুপাত বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/জেজে/একে