২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৩৫ মৃত্যু, শনাক্ত ১১৯০ জন
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:০৬
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ২৭ হাজার ১৮২ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে নতুন ১ হাজার ১৯০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হলেন।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাভাইরাস বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়— গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে পরীক্ষাগার ছিল ৮০৮টি। এর মধ্যে আরটি পিসিআর ল্যাব ১৪৪টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৫টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব ৬০৯টি।
নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন বুথ থেকে ১৯ হাজার ৮৯৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৬৬৮টি। এ পর্যন্ত দেশে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৩টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৯ লাখ ৫০ হাজার ৪৪৫টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ লাখ ৬২ হাজার ৫৮৮টি।
শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৯০ জন। এ পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৪৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের, এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭ হাজার ১৮২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আক্রান্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। আক্রান্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
পুরুষ ও নারীর মৃত্যুর পরিসংখ্যান: গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনের মধ্যে পুরুষ রোগী মারা গেছেন ১৬ জন, নারী রোগী মারা গেছেন ১৯ জন। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় পুরুষ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৪৯০ জনের, নারী রোগী মারা গেছেন ৯ হাজার ৬৯২ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ রোগী মৃত্যুর হার ৬৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ, নারী রোগী মৃত্যুর হার ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
বয়স ও বিভাগভিত্তিক মৃত্যু: বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে— গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী রোগী মারা গেছে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী একজন। মৃতদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রয়েছেন ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী রয়েছেন সাতজন জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী রয়েছেন আট জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী রয়েছেন পাঁচজন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী রয়েছেন ছয়জন, ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী রয়েছেন একজন।
এ পর্যন্ত দেশে ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী মোট রোগী মারা গেছেন ৮ হাজার ৪৪৮ জন, যা সর্বোচ্চ; ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মারা গেছেন ৬ হাজার ৪১৮ জন, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিভাগওয়ারী মৃতদের ঢাকা বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৯ জন, চট্টগ্রামে ছয়জন, রাজশাহীতে তিনজন, খুলনায় তিনজন, বরিশালে একজন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে একজন মারা গেছেন।
এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৭ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন আটজন।
কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন: গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৩ জন। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৭১৪ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন মোট ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫৬ জন, কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন মোট ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬৯ হাজার ৯৮৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যান ৪৪৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬০৭ জন। আইসোলেশনে এ পর্যন্ত মোট যুক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৭৯৭ জন। আইসোলেশন থেকে মোট ছাড়া পেয়েছেন ৩ লাখ ৩১ হাজার ২২৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৫ হাজার ৫৭৪ জন।
স্ক্রিনিং সংক্রান্ত তথ্য: করোনাভাইরাস বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বন্দরগুলোতে ৬ হাজার ৪৭৭ জনকে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে বিমানবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং করা হয় ৬ হাজার ৭৭ জনের। স্থলব্ন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং হয়েছে ১৭৪ জনের। এ ছাড়া সমুদ্র বন্দরে ২২৬ জনের স্ক্রিনিং সম্পন্ন হয়। এ পর্যন্ত দেশে স্ক্রিনিং হয়েছেন ২৭ লাখ ১০ হাজার ৭৭০ জনের।
সারাবাংলা/একে