Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজউকের নির্মাণ অনুমোদন সেবা এখন অনলাইনে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:২৮

ঢাকা: গ্রাহকের ভোগান্তি কমাতে এবার নির্মাণকাজের অনুমোদন সেবা অনলাইনে চালু করল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ইসিপি (ইলেকট্রনিক কনস্ট্রাকশন পারমিটিং) সিস্টেম শীর্ষক সেবাটি চালু করা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের আওতায়। অনলাইনে রাজউকের এ সেবাটি পাওয়া যাবে www.uru.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন ও এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়েছে। রাজউক বলছে, রাজধানীতে যেকোনো নির্মাণকাজে রাজউকের অনুমোদন, ফি জমা দিতে এর আগে যে সময় ব্যয় হতো, এই সেবা অনলাইনে আসায় সেই সময় এবং গ্রাহকের ভোগান্তি কমবে।

বিজ্ঞাপন

রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনলাইন এই সেবার উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করেন রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন ও বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শিবলু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, ‘রাজধানীতে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। তবে এতে অনেক ক্ষেত্রে সেবা দিতে অনেক সময় দীর্ঘসূত্রিতা দেখা যায়। সাধারণ মানুষের এ ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে ইসিপিএস প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়ার আবেদন থেকে শুরু করে সলভেন্সি সার্টিফিকেট পাওয়া পর্যন্ত সব কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন হবে। আবেদনকারী ঘরে বসেই সেবা পাওয়ার সুযোগ পাবে।’

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্বল্পতম সময়ে সব নির্মাণকাজে সুষ্ঠু সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদেশি সংস্থার পরামর্শে এবং দক্ষ জনবল নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এ সিস্টেমটি উন্নয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে অনলাইনের মাধ্যমেই ল্যান্ড ক্লিয়ারেন্স ও কনস্ট্রাকশন পারমিট পাওয়া যাবে।

পাইলট প্রকল্প হিসেবে বর্তমানে রাজউকের জোন-৩, সাবজোন-২, (গুলশান, মিরপুর, সাভার, টঙ্গী) এবং জোন-৪, সাবজোন-২ (গুলশান) এলাকায় প্রাথমিকভাবে ইপিএস চালু করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে জোন-৬, সাবজোন-২-এ সেবাটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও যত দ্রুতসম্ভব পর্যায়ক্রমে রাজউকের সব জোন ও সাবজোনে অনলাইন আবেদনের এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা কথা জানিয়েছে রাজউক।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের সেবায় রাজউক সবসময়ই নিবেদিত। আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের আওতায় ইসিপি পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে নির্মাণকাজের আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। একইসঙ্গে অনলাইনে সব কাজ হওয়ায় কাগজপত্রবিহীন ঝুঁকিমুক্ত প্রক্রিয়ায় সময় বাঁচার পাশাপাশি গ্রাহকের খরচও বাঁচবে।

তিনি বলেন, আবেদনকারীকে তার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে না। ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমেই তিনি সব তথ্য জানতে পারবেন। বিভিন্ন সার্ভিস ফি নিজের সুবিধাজনক সময়ে যেকোনো স্থান থেকে তিনি জমা দিতে পারবেন। এছাড়া অর্থ পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে ব্যাংকিং সিস্টেমসহ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমও এখানে সংযুক্ত থাকবে। আর নকশা ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব পক্ষই একসঙ্গে এক প্ল্যাটফর্ম থেকে সেবা দেবে।

রাজউকের ইউআরপি প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালি, প্রকল্প গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার ও বিশ্বব্যাংকের দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ স্বর্ণা কাজী ছাড়াও রাজউক, পরিকল্পনা কমিশন, জাইকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, এটুআই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, স্থপতি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ নানা পেশাজীবি সংগঠনের মুখপাত্র উপস্থিত ছিলেন।

তারা বলেন, ঢাকাকে একটি পরিবেশবান্ধব শহর করার লক্ষ্যে রাজউকের কার্যক্রমের এটি একটি নতুন দিক। তবে দক্ষ জনবলের অভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন যেন থেমে না যায়, সেটিই প্রত্যাশা।

সারাবাংলা/আরএফ/টিআর

অনলাইন সেবা ইসিপি প্রোগ্রাম রাজউক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর