সপ্তাহে একদিন গণটিকা, মাসে দেওয়া হবে ২ কোটি ভ্যাকসিন
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৩৯
ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেছেন, আমাদের ভ্যাকসিনের সরবরাহ এখন বেশ ভালো। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। আমরা সামনের দিনগুলোতে ভ্যাকসিন পাওয়ার উৎস নিশ্চিত করেছি। এরই ধারবাহিকতায় প্রতি মাসে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক কোটিসহ দুই কোটি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে নির্ধারিত একদিন নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত এবং ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে স্পট রেজিট্রেশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন নিতে বলা হবে।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে ভ্যাকসিন নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণ বা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমিত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে মৃত্যুর হারও বেশি। এটা মাথায় রেখে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন পাওয়ার উৎস নিশ্চিত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি মাসে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক কোটিসহ প্রায় দুই কোটির মতো ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় যারা বয়স্ক, তারা যেন ভ্যাকসিন পান— এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। প্রতি সপ্তাহে নির্ধারিত একদিনের ভিত্তিতে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত এবং ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে স্পট রেজিট্রেশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আর এজন্য মাঠ পর্যায়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিকে আরও কীভাবে বাড়ানো যায় বা সম্প্রসারণ করানো যায়, সে বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছি।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি উপজেলা অডিটোরিয়ামে এবং উপজেলার যেকোনো বড় হলরুমে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
অধ্যাপক খুরশীদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য যেসব স্কুল-কলেজে আগে টিকাদান কর্মসূচি চলতো সেই জায়গাগুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হয়েছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি উপজেলা অডিটোরিয়ামে এবং উপজেলার যেকোনো বড় হলরুমে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রয়োগের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহকারীদের মাধ্যমে ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তারা কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন প্রয়োগের কেন্দ্র হিসেবে একটি ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করবেন। ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিবন্ধন করবেন এবং এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষে নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নেবেন।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে যে দুই দিন নিয়মিত টিকাদান থাকবে না, সপ্তাহে এমন দুই দিন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের আগ্রহীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নিবন্ধন করবেন এবং এসএমএস আসার পর ভ্যাকসিন নেবেন। আইসিটি বিভাগ ইউনিয়নের নাম ব্যবহার করে ভ্যাকসিন প্রতাশীদের কাছে এসএমএস পাঠাবে।’
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম