Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেশ এগিয়েছে: কৃষিমন্ত্রী


১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:১২

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘শুধু কৃষিতে নয়, সকল ক্ষেত্রেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। সেই ধারাবাহিকতায় দেশে জিএমও প্রযুক্তির প্রসার ঘটছে। বর্তমান সরকার এমন কিছু করে না যা দেশের জন্য অমঙ্গলজনক। সাধারণ আলুর সঙ্গে সঙ্গে তাই জিএমও আলু নিয়েও কাজ চলছে।’

রাজধানীর বিএআরসি মিলনায়তনে বুধবার দুপুরে ‘ফিড দ্য ফিউচার বায়োটেকনোলজি পটেটো পার্টনারশিপ’ প্রজেক্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

থ্রি-জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘নাবী ধ্বসা’ রোগ প্রতিরোধী আলুর জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
জিএমও প্রযুক্তি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘থ্রি-জিন জিএম আলু কৃষকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে কোনো ওষুধ স্প্রে করতে হয় না। এর ফলে পরিবেশ ও কৃষকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমবে। আর এটি সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্তও।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে দু ধরনের আলুই পাশাপাশি চলবে। একটা বন্ধ করে অন্যটা চলবে না। কোনটা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফল দিবে তার ওপরই নির্ভর করবে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা।’

মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, ‘চাষীরা ঘন করে আলু লাগায়, এতে উৎপাদন কম হয়। আবার আলুকে রোগ থেকে বাঁচাতে প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি টাকার ওষুধ খরচ হয়। জিএমও আলু উদ্ভাবিত হলে সেই খরচ বাঁচবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অনুবিজ্ঞান বা আনবিক বিজ্ঞান যুগে প্রবেশ করেছে। নিজস্ব অর্থে পদ্মাসেতু হচ্ছে। আজ পদ্মাসেতু শুধু দৃশ্যমান নয়, বাস্তব। সহযোগিতা পূর্ণ মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে চলছে। তবে কারো সাহায্য নিয়ে নয়।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ডেভিড ডুছেস। ৫ জন মূল প্রবন্ধের ওপর বক্তব্য রাখেন। প্রবন্ধ ও বক্তাদের আলোচনায় উঠে আসে দেশে আলু চাষের বর্তমান অবস্থা।

বিজ্ঞাপন

বক্তরা বলেন, আলু চাষে নানাবিধ সমস্যার মধ্যে ‘নাবী ধ্বসা’ রোগটিই সবচেয়ে মারাত্মক। রোগটি দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা না নিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চাষীদের জন্য এ রোগটিই সবচেয়ে চিন্তার কারণ।

বক্তরা আরও বলেন, আলু গাছের বয়স ২৫ থেকে ৩০ দিন হওয়া মাত্রই কৃষক দামি ছত্রাকনাশক ছিটাতে আরম্ভ করেন। চাষীরা ৭ থেকে ৮ বার জমিতে স্প্রে করে। শুধু ‘নাবী ধ্বসা’ রোগ দমনের ছত্রাকনাশক স্প্রে করে মোট উৎপাদন খরচের ২৮ শতাংশ ব্যয় হয়। রোগটি প্রতিরোধে বছরে ১০০ কোটি টাকার ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. ভাগ্য রাণী বণিক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএআরআই-এর পরিচালক ড. তপন কুমার পাল। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, কৃষক প্রতিনিধি এবং এনজিও প্রতিনিধিসহ প্রায় ৩৫০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সারবাংলা/ইএইচটি/টিএম/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিনিয়র সাংবাদিক বদিউল আলম আর নেই
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩১

সম্পর্কিত খবর