স্বাস্থ্যের গাড়িচালক মালেকের মামলার রায় আজ
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:০২
ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আব্দুল মালেকের (৬৩) বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় রায় ঘোষণার দিন আজ। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার জানান, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, তার সর্বোচ্চ সাজা হবে।
মালেকের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আশা করছি তিনি খালাস পাবেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ তারিখ ধার্য করেন আদালত। চার্জশিটের ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে, চলতি বছর ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এ কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান চৌধুরী আদালতে এ আসামির বিরুদ্ধে মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর একই আদালত চলতি বছর ১১ মার্চ এ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।
চার্জশিটে শিবলু নামে আরেক আসামির প্রকৃত নাম-ঠিকানা উদঘাটনসহ গ্রেফতার করতে না পারায় অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীতে নাম-ঠিকানা পেলে তার বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের কথা জানানো হয়েছে চার্জশিটে।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে মালেককে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, ১টি ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
জানা যায়, রাজধানীর তুরাগ এলাকায় আব্দুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, চাঁদাবজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ওই এলাকায় তিনি সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শক্তির মহড়া ও দাপট প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন। এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তুরাগে কামারপাড়াস্থ বামনের টেক এলাকার ৪২ নাম্বার হাজি কমপ্লেক্স নামের ৭ম তলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মালেক পেশায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের একজন চালক এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা। তিনি ১৯৮২ সালে সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে চালক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরে কাজ করেন।
সারাবাংলা/এআই/এমও