ঢাকা: ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট কয়েকটি পর্যবেক্ষণসহ সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এস কে) মোরশেদ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল নকশার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ, উদ্যান সংরক্ষণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মূল রূপে রাখার নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ মে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফরমস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নিজেরা করি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক) এবং স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
শুনানিতে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সরকার হাইকোর্টের আগের রায় ও নির্দেশনা এবং সরকারের মাস্টারপ্ল্যান বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করছে। এজন্য সেখান থেকে অসংখ্য গাছ কাটা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।’
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, ‘এটা সরকারের একটি মেগা প্রকল্প। পরিবেশ রক্ষা করেই এটা বাস্তবায়ন করছে সরকার। এখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম হবে। এসব মানুষের জন্য টয়লেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের প্রয়োজন আছে। তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কোনো অবকাঠামো করা হচ্ছে না।’
রাষ্ট্রের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে আরও বলেন, ‘সেখানে কীভাবে কতটি গাছ লাগাতে হবে, সে বিষয়ে সরকার ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সব হচ্ছে। ২০০৯ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে সরকার। এখানে অনিয়ম বা পরিবেশ ধ্বংস করে কিছু করা হচ্ছে না।’
এরপর আদালত কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়ে রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন।