একই বিভাগের ৪০ শিক্ষার্থীকে শোকজ
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:৩৭
কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের ৪০ শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় প্রধানের সই করা ওই নোটিশে বলা হয়েছে, এই শিক্ষার্থীরা বিভাগের বিরুদ্ধে আন্দোলন; সরাসরি উপাচার্যের কাছে যাওয়া এবং ফেসবুকে বিভাগীয় শিক্ষকদের নিয়ে নানা ধরণের কটুক্তি ও বিব্রতকর মন্তব্য করার সঙ্গে জড়িত।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থীদের কাছে শোকজ নোটিশ পাঠিয়ে সাত দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা গত ১ সেপ্টেম্বর এবং তারপরে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফেসবুকে বিভাগীয় শিক্ষকদের নিয়ে নানা ধরণের কটুক্তি ও বিব্রতকর মন্তব্য করেছেন। এমন কি শিক্ষকের সঙ্গে একাডেমিক অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ভাষা উন্মুক্তভাবে উপস্থাপন এবং স্কিনশট শেয়ার করে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তাদের এসব কাজ করার এখতিয়ার আছে কি না, তা বিভাগ জানতে চায়।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, বিভাগীয় শিক্ষকেরা অবশ্যই শিক্ষার চলমান অচলাবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভাগ একাডেমিক বিষয়ে তৎপর। তারপরও, শিক্ষার্থীদের এ ধরনের অশোভন আচরণে বিভাগ মর্মাহত। তাছাড়া বিভাগীয় একাডেমিক বিষয় নিয়ে বিভাগীয় ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধানের সাথে আলোচনা না করে বিভাগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও সরাসরি উপাচার্যের শরণাপন্ন হয়েছেন, এ ধরণের আচরণ বিভাগীয় শৃঙ্খলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধির লঙ্ঘন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যেহেতু পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষমতা বিভাগের হাতে নেই, তাই তারা সরাসরি উপাচার্য কাছে গিয়েছিলেন। আর এসব নিয়েই ফেসবুকে লেখালেখি করেছিলেন। কিন্তু, পরবর্তীতে বিভাগের কারণ দর্শানোর এমন নোটিশে তারা শঙ্কিত এবং হতবাক।
তবে এ কারণ দর্শানোর নোটিশ নিয়ে বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারা কোনো শিক্ষককে বিব্রত করতে পারে না। আর কোনো বিষয় বিভাগে আলোচনা না করে সরাসরি উপাচার্যের কাছে গেলে বিভাগে শৃঙ্খলা থাকে না। এসব কারণেই তাদেরকে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে ওই বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ডেকে কথা বলবেন। সব সময় শিক্ষার্থীদের বিষয়ে অ্যাকশনে চলে গেলে তো হয় না।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ দীর্ঘদিন ধরেই সেশনজটে বিপর্যস্ত। কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ব্যাচটি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও পাঁচ বছরে মাত্র চার সেমিস্টার শেষ করতে পেরেছে তারা। রোববার থেকে ব্যাচটির ৫ম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়েছে৷
সারাবাংলা/একেএম