ডিসেম্বরই চূড়ান্ত হচ্ছে ড্যাপ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:১৩
ঢাকা: আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে তৈরি করা ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে ড্যাপের অংশীজনদের মতামত নিয়েছি এখন পর্যালোচনা চলছে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই তা চূড়ান্ত করা যাবে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের নিউজ সংগ্রহে নিয়োজিত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য সুন্দর শহরগুলোর মতো করে ঢাকাকে তৈরি করার সুযোগ নেই। সব জায়গায় বহুতল ভবন করে ফেলেছে। ঢাকা শহরে এখন ২ কোটির বেশি মানুষ রয়েছে। যা বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। কাউকে তো জোর করে বের করা যাবে না। সেজন্য আমরা গ্রামে সুযোগ সুবিধা বাড়াচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, এখন সকল নাগরিক সমান হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল দিচ্ছেন। এখন যদি গুলশানে হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে দেই তাহলে তিনি গুলশান কিংবা ধানমন্ডি না থেকে টঙ্গী চলে যাবেন। তাহলে টঙ্গীতেই তার সুবিধা করে দিতে হবে।
রাজধানী ঢাকাকে একটি পরিকল্পিত নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৬-২০৩৫ সাল পর্যন্ত ২০ বছরের জন্য তৈরি করা হয় ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান বা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)। ঢাকা ও এর আশেপাশের এরিয়া ধরে মোট এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার ভূমি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ঢাকাকে একটি মানবিক ও দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার মূল লক্ষ্য আর্থ-সামাজিক শ্রেণি পেশার মানুষের প্রয়োজন ও জীবনযাত্রাকে উন্নত করা।
উল্লেখ্য, এর আগেও ঢাকাকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে তৈরি করা হয় ‘মাস্টারপ্ল্যান’ ১৯৫৯-১৯৮১, ‘ঢাকা মহানগরী এলাকার সমন্বিত পরিকল্পনা-১৯৮১’। এছাড়াও ১৯৯৫-২০১৫ সাল র্পযন্ত প্রণয়ন করা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন প্ল্যান-ডিএমডিপি। রাজউকের তৈরি করা এই পরিকল্পনা অনুমোদন পায় ১৯৯৭ সালে এসে। ১৯৯৫ -২০১৫ করা ডিএমডিপির আলোকে ২০১০ সালে তৈরি করা হয় ‘ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান’। এই প্ল্যান বাস্তবায়নে তৈরি করা হয় বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০১৬-২০৩৫, যার সংশোধন চলছে এখন।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ