Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাবেক কম্পিউটার অপারেটর নুরুল কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:১৪

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার প্রায় ৫০০ কোটি টাকার মালিক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল টাকা ও বিদেশি মুদ্রার মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই গোলাম কিবরিয়া সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে নুরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত সূত্রে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি জানা গেছে।

গত ১৭ সেপ্টম্বর আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৫ সেপ্টেম্বর তার তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল ইসলামকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এসময় তার কাছ থেকে তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ জাল টাকা, তিন লাখ ৮০ হাজার মিয়ানমারের মুদ্রা, চার হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ও নগদ দুই লাখ এক হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে চুক্তিভিত্তিক দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি নেন নুরুল ইসলাম (৪১)। ওই চাকরি দিয়ে শুরু করলেও
সময়ের পরিক্রমায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার মালিক বনে যান তিনি। এই টাকা দিয়ে তিনি সাভারে একটি রিসোর্ট ও বন্দরে একটি জাহাজ কিনতে চেয়েছিলেন।

টেকনাফ বন্দরের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কম্পিউটার অপারেটর নুরুল ইসলামকে গ্রেফতারের সময় তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট, তিন লাখ ৮০ হাজার
মিয়ানমার মুদ্রা, চার হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং নগদ দুই লাখ এক হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানা, নুরুল ইসলাম ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে দৈনিক ১৩০ টাকা হারে কম্পিউটার অপারেটর পদে চুক্তিভিত্তিক চাকরি পান। বন্দরে চাকরির অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে তিনি চোরাকারবারী, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ পণ্য খালাস, দালালি ইত্যাদির কৌশল রপ্ত করেন। এক পর্যায়ে নিজের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে তিনি বন্দরে বিভিন্ন রকম দালালি সিন্ডিকেটে যুক্ত হন। এমনকি একটি সিন্ডিকেটও তৈরি করেন। এরপর ২০০৯ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। ওই সময় তারই আস্থাভাজন একজনকে ওই কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দালালি সিন্ডিকেটটির নিয়ন্ত্রণ রাখেন নিজের হাতে। এভাবে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

নুরুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর