৪৯ মামলার আসামি কাঞ্চনের রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:১৬
ঢাকা: দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ ৪৯টি মামলার আসামি রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী একরামুল আহসান কাঞ্চনের (৫৫) রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আপিল বিভাগে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রিট মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। অপরপক্ষে ছিলেন এম কে রহমান ও শেখ ওমর শরীফ।
আদেশের পর বিবাদী পক্ষের আইনজীবী শেখ ওমর শরীফ সারাবাংলাকে বলেন, ‘নারী নির্যাতন, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯ মামলার আসামি একরামুল হক কাঞ্চনের দায়ের করা রিট আবেদন হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে আপিল বিভাগে মামলাটির অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় মামলাটিতে আর কোনো আদেশ না দিয়ে চূড়ান্তভাবে কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় বেশ কিছুদিন কারাভোগ করেন তিনি। পরে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন কাঞ্চন। এরপর কাঞ্চনের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলার বাদীদের খুঁজে বের করতে গত ১৪ জুন সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন। একই সঙ্গে রিট আবেদনকারী কাঞ্চনের বিরুদ্ধে চলমান সকল মামলার বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত থাকবে বলে জানায় আপিল বিভাগ।
আজ বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশের প্রত্যায়িত অনুলিপি (সার্টিফাইড কপি) হাইকোর্টে দাখিল করেন। তখন হাইকোর্ট মন্তব্য করেন, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ওপর আপিল বিভাগ কর্তৃক স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, তাই এই মুহূর্তে এই রিট মামলায় অন্য কোনো আদেশ প্রদান করা সম্ভব নয়। এই বলে হাইকোর্ট মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন।
দেশের বিভিন্ন জেলায় ৪৯টি মামলা হওয়ার প্রেক্ষাপটে একরামুল আহসান কাঞ্চন ২০টি মামলার ক্ষেত্রে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) একরামুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে রুলসহ আদেশ দেন। এরপর মামলাকারীদের কয়েকজন হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ পাঁচ মামলার ক্ষেত্রে স্থগিত করেছিল আপিল বিভাগ।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআিইড), মহাপরিচালক র্যাব, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম