Tuesday 12 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পদ্মাসেতু বিগিনিং অব দ্য বিগিনিং, বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী


১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:২৭

জিমি আমির, জয়েন্ট নিউজ এডিটর

ঢাকা : ২০৪০ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও তা থেকে রফতানি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রীর ব্যাখ্যা ছিল প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য অনেক বেশি বিদ্যুৎ দরকার হচ্ছে। তাই, রফতানির প্রশ্নই ওঠে না।

সারাবাংলা ডটনেটের কার্যালয় পরিদর্শনে এসে বুধবার এ সব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এ সময় তিনি দেশের উন্নয়ন নিয়ে সারাবাংলার সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রীর আলাপচারিতার মধ্যদিয়ে সারাবাংলা’র নতুন আয়োজন ‘মিনিস্টার টকস’ এবং সংবাদমাধ্যমটির ‘উন্নয়ন বুলেটিন’ কার্যক্রমেরও সূচনা হয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে  ১৪শ প্রকল্প অনুমোদন করা থাকলেও সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সরকার। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কথা। ঢাকায় তাদের থাকার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। অথচ তারা সেবামূলক কাজ করেন। তাই তাদের জন্যও ২০ তলা ফ্ল্যাটের কথা চিন্তা করছে সরকার।

আওয়ামী লীগ সরকার টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশে দৃশ্যমান অনেক উন্নতি হয়েছে। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী তথ্য দিলেন, দেশে এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, ভাড়াভিত্তিক, কয়লা বা আমদানি করে। তার সঙ্গে জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে সৌর বিদ্যুৎও। তাহলে দেশ কি এখন রফতানির দিকে যাবে? এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে মন্ত্রী জানালেন, ২০৪১ সালেও দেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের দরকার। যা উৎপাদন করতে হবে। কারণ, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যার অন্যতম দিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন। এ সময় বেশ কৌতুক করেই মন্ত্রী বললেন, প্রযুক্তি এত এগিয়েছে যা এখনকার অনেক মানুষই জানে না।

বিজ্ঞাপন

তবে বিদ্যুতের দাম বেশি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বললেন, ব্যয়বহুল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বর্তমান দাম বেশি না। উদাহরণ দিয়ে বললেন, আমেরিকান বার্গার কিনতে বাংলাদেশি টাকায় অনেক পড়ে যায় সেখানে বিদ্যুতের এই দাম কিছুই না। তাছাড়া, দেশ একটানা ৬ শতাংশের প্রবৃদ্ধিতে ছিল অনেক দিন। এরপর দেশ এখন ঢুকেছে ৭ শতাংশের প্রবৃদ্ধিতে। বিশ্বে যে তিনটি দেশ ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশ সবসময় রেকর্ড ভাঙছে।

মন্ত্রী যোগ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই রোল মডেল। পদ্মার জাজিরা অংশে সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের আদলে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে। ১২০ কোটি ডলারের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে সম্পূর্ণ বিদেশি বিনিয়োগে। তবে, পদ্মার মূল নকশার সাথে সামঞ্জস্য রেখে রেল সংযোগ প্রকল্পটি খানিকটা পিছিয়ে গেছে। চীনের অর্থায়ন করার কথা থাকলেও দুইবার চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা পিছিয়ে গেছে। কেনইবা পিছিয়ে গেল? অন্য কোনো উৎস থেকে অর্থায়ন হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বললন, অন্য কেউ আসতেও পারে।

সরকার ২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করেছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বেশ জোরের সঙ্গেই উচ্চারণ করলেন, ‘ পদ্মাসেতু জাস্ট দ্য বিগিনিং, দিজ ইজ নট দ্য এন্ড অব দ্য বিগিনিং, দিজ ইজ বিগিনিং অব দ্য বিগিনিং।’

সারাবাংলা/জিআ/একে

 

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর