সিসি ক্যামেরা ধরিয়ে দিল ৭ ‘চোরের’ ৩ জনকে
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:০৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে নির্মাণাধীন একটি ভবনে চুরির ঘটনায় তিন নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সাত নারীর সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র নগরীতে নির্মাণাধীন ভবনে চুরি করে বেড়ায়। ইট ভাঙার কাজের কথা বলে ভবনে ঢুকে স্টোর রুম থেকে কৌশলে বিভিন্ন ধরনের নির্মাণসামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এবার ঘটনাস্থলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকায় সাত নারীই শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার রৌফাবাদ কলোনিতে নির্মাণাধীন একটি ভবনে চুরির ঘটনায় বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর হালিশহর থানার ছোটপুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেফতার তিনজন হলো- শামছুনাহার বেগম (৪০), হোসনে আরা বেগম (৩৮) এবং রোকসানা ওরফে আফসানা বেগম (৪০)।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে সাত নারী নির্মাণাধীন ভবনে প্রবেশ করে। প্রত্যেকের মুখ হিজাবের মতো কাপড় এবং মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল। ঢোকার সময় তারা জানায়- নির্মাণ ঠিকাদারের নির্দেশে ইট ভাঙার জন্য গেছেন। পরে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে দ্রুত তৃতীয় তলায় স্টোর রুমে ঢুকে পড়ে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম শাড়ির আড়ালে নিয়ে তারা সটকে পড়ে।’
‘এই পুরো চিত্র আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পেয়েছি। এজন্য আমরা সাতজনকেই শনাক্ত করতে পেরেছি। তারা সবাই ছোটপুল এলাকায় থাকে। তিনজনকে আমরা গ্রেফতার করতে পেরেছি। বাকি চারজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি, এর আগেও তারা একই প্রক্রিয়ায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে চুরি করেছে। তবে সিসি ক্যামেরা না থাকায় সেসময় চোর শনাক্ত করা যায়নি। এবার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেয়ে আমরা সহজেই চোর শনাক্ত করতে পেরেছি’— বলেন ওসি কামরুজ্জামান।
তিনি জানান, গ্রেফতার তিনজনের হেফাজত থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া ১৮টি সার্কিট বেকার, ১ কয়েল তার, ১০টি সার্কিট, ৩০ পিস সাদা টেপ, ৯ পিস প্লাস্টিকের ইউপিভিসি, ১৭ পিস রেডিওয়াটার ইউপিভিসিসহ আরও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
চুরির ঘটনায় ভবন মালিকের ভাই রহমত আলী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি কামরুজ্জামান।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম