Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইভ্যালি ব্যবসার নামে টাকা আত্মসাৎ করেছে: রাষ্ট্রপক্ষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:২৬

ঢাকা: ‘ইভ্যালি ব্যবসার নাম করে গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সত্যিকারের ব্যবসায়ী হলে তারা এ ধরনের কাজ করতে পারতো না।’ বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন শুনানিতে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এ কথা বলেন।

ধানমন্ডি থানায় করা প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় শুনানি শেষে ঢাকার অ্যাডিশনাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত আসামির জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার সাব-ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ আসামি রাসেলকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন পেশাদার প্রতারক চক্রের মূলহোতা। তারা তাদের সহযোগী প্রতারকদের সহায়তায় বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কৌশলে অগ্রিম পণ্যমূল্য গ্রহণ করেও ক্রেতাদের পণ্য সরবরাহ না করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, আসামির সহযোগী অজ্ঞাতনামা অন্য প্রতারকদের সনাক্তসহ গ্রেফতার এবং এ মামলার বাদীর দুই লাখ ২০ হাজার ১২৬ টাকা উদ্ধারে রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

শুনানির শুরুতেই রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন,‘ইভ্যালি ব্যবসার নাম করে গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সত্যিকারের ব্যবসায়ী হলে তারা এ ধরনের কাজ করতে পারতো না। পুলিশ তাদের রিমান্ড চেয়েছে, রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।’

বিজ্ঞাপন

এরপর আসামির পক্ষে এম মনিরুজ্জামান আসাদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘আগেও রাসেলকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মামলার অভিযোগ, ধারা প্রায় একই। করোনার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে তারা কিছু গ্রাহকের পণ্য সরবরাহ করেননি। এখন আবার রাসেলের আরেকটি মামলায় রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডের যৌক্তিকতা নেই। তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন চাচ্ছি।’

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রাসেলের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর দুই লাখ ২০ হাজার ১২৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আব্দুর রহমান রাকিব নামে এক গ্রাহক ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগে বলা হয়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে আব্দুর রহমান রাকিব নামের ওই ব্যক্তি দুইটি মোটরসাইকেলের অর্ডার দেন। ৫ মার্চ তিনি অর্ডার বাবদ সব মূল্য পরিশোধ করেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য না পেয়ে রাকিব প্রতিষ্ঠানটির সাথে যোগাযোগ করে। গত ১০ সেপ্টেম্বর তিনি আবারও অফিসে যান। সেখানে প্রতিনিধির সঙ্গে পণ্যের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তারা উত্তেজিত হয়ে চিৎকার ও খারাপ আচরণ করে। তারা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

সারাবাংলা/এআই/এমও

ইভ্যালি টাকা আত্মসাৎ রাষ্ট্রপক্ষ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর