Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:২১

ঢাকা: দেশে কর্মক্ষেত্রসহ জনসমাগম হয় এমন এলাকা এবং গণপরিবহনে প্রত্যক্ষভাবে ধূমপান না করেও তিন কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। দেশে প্রায় পৌনে চার কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক পণ্য ব্যবহার করে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিসার্চ কোঅর্ডিনেটর ডা. আহমদ খাইরুল আবরার।

ডা. আহমদ খাইরুল আবরার বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদরোগ, ক্যানসার, বক্ষব্যাধি এবং অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।

তিনি বলেন, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড ১৯ আক্রান্তদের মধ্যে ধূমপায়ীদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা ১৪ গুণ বেশি।

আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, করোনা মহামারির এ সময়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে কঠোরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। এ জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করতে এর ছয়টি ধারা সংশোধন করা জরুরি।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ বলেন, জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম। এই ফোরামের সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন করেন। তারা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সচেতন করবেন।

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটির বিভিন্ন দিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তারপরও কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। এই দুর্বলতাগুলো সংশোধন করা হলে, আইনটি আরও কার্যকর হবে।

সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর দাবি জানান বক্তারা। এগুলো হলো : করোনার এ সময়ে সব ধরনের পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনকে শতভাগ তামাকমুক্ত করা, দোকানে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে মুদ্রিত সচিত্র স্বাস্থ্য-সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি করা এবং তামাক-দ্রব্যের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করা।

সারাবাংলা/এসবি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর