হাওরের শিক্ষাঙ্গনে ফিরছে প্রাণ
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৩৫
কিশোরগঞ্জ: ‘করোনায় লম্বা ছুটি খেয়ে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরারে পুষাইয়া পড়ায়েন’- শিক্ষকদের প্রতি এমন উদাত্ত আহ্বান রাষ্ট্রপতিপুত্র হাওর অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের তিনবারের নির্বাচিত এমপি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের।
মহামারি পেরিয়ে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা খোলায় নতুন সূর্য উঠেছে যেন হাওরের শিক্ষাঙ্গনে। শিক্ষকরা ‘নো মাস্ক নো স্কুল’ প্রচারণায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেতে উঠায় আবারও হাসছে শিক্ষাঙ্গন। শিক্ষা-চত্বর যেন হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা।
উৎসবমুখর পরিবেশ ফিরে পেয়ে ঘরবন্দি হতাশাও থাকছে না আর। দীর্ঘদিন পর সহপাঠীদের পেয়ে একে অপরের কুশল বিনিময় করতে পেরে চোখেমুখে হাস্যোজ্জ্বলের ছাপ। শিক্ষাঙ্গনে ফেরার আনন্দ হৃদয় ছুঁয়ে গেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। অভিভাবকরাও ফেলছে স্বস্তির নিঃশ্বাস।
সারাদেশের মতো কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও গত ১২ সেপ্টেম্বর খুলে করোনাকালে সরকারি নির্দেশনা মেনে সীমিত পরিসরে ক্লাস শুরু হয়েছে। শুরুতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি প্রাণহীন হলেও পড়ন্ত মহামারির মধ্যেও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফিরে পাচ্ছে প্রাণ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরা ছিল একেবারেই নতুনত্বে ঘেরা। পাঠ্যসামগ্রীর সঙ্গে মুখে মাস্ক, হাতে স্যানিটাইজার আর শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করতে হয়েছে জোরালোভাবে। সবকিছু ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরার দৃশ্য ছিল অভাবনীয়।
দীর্ঘ দেড় বছর পর আবার ক্লাসে ফিরতে পারার আনন্দ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অনেকের জন্য ছিল সরাসরি প্রথম ক্লাস। আবার শ্রেণি কার্যক্রমে ফেরা পুরনো শিক্ষার্থীদের অনেকেই সহপাঠীদের দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারছিল না; ক্ষণেক্ষণেই শারীরিক দূরত্ব ভুলে যাচ্ছিল তারা। প্রিয় প্রতিষ্ঠানের গেইট পেরিয়েই নিয়মের বেড়াজাল বেমালুম ভুলে দৌড়ে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরছে। এমনি পরিস্থিতিতে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হলেও শিক্ষকরা বেশ আপ্লূত ও প্রফুল্লিত।
খুশিও যেন ধরছিল না শিক্ষার্থীদের। হাওরের প্রাণকেন্দ্র মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রয়াত মাতৃনামীয় বিদ্যাপীঠ তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী সোমা আক্তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কবির ভাষা কেড়ে নিয়ে- ‘আলোয় ঘেরা ভুবন হতে /যাই আমি সরে, /ডানা ভাঙা পাখি /কে রাখিবে সোনার খাঁচাতে ভরে।’
একইভাবে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী সেজুঁতি বৈষ্ণব কাব্যিকতায় বলেন, ‘মনের গহিনে একটি নাম একটি প্রেম/থেমে থেমে হানা দেয়, /সে আর অন্যকিছু নয় /ও যে আমার প্রাণের শিক্ষা নিকেতন। /যাকে ঘিরে তৈরি আমার সমস্ত/প্রেরণা চেতনা আর কলমের শান।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সেতু বৈষ্ণব বলেছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের ‘নয়া আপদ’ ঘাড়ে চেপে বসলেও আত্মিক টানে ভাটা পরেনি একরত্তি। বরং স্কুল খোলার দিন প্রিয় প্রাঙ্গণের সবুজ ঘাসে ও ক্লাসে পা রাখতে গিয়ে প্রশান্তির তুফান বয়ে যায় সেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন প্রথম দিনগুলোর মতোই।
অষ্টম শ্রেণির সুস্মিতা ও সপ্তম শ্রেণির নিশাত তাসনিম বলেন, ‘কী যে একটা দমবন্ধ জীবন কাটিয়েছি এতদিন। কোনো বন্ধু-বান্ধবের দেখা নেই, শিক্ষকদের সান্নিধ্য ও সংশ্লিষ্টতা নেই। পড়ালেখা তো অনলাইনে হচ্ছিল যদিও, তথাপি মনে সবসময় অপূর্ণতা তাড়া করেছে। ইউনিফর্ম পরে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার সেই বৈচিত্র্যময় চিরচেনা দৃশ্য যেন দেখলাম দীর্ঘ ১৮ মাস পর। এতে সহপাঠী ও স্যার-ম্যাডামদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ায় বেশ আল্লাগছে।’
ষষ্ঠ শ্রেণির অঙ্কিতা বৈষ্ণব অধরা মাধ্যমিক শিক্ষায় এ দিনটিকে স্মরণীয় হয়ে রবে উল্লেখ করে বলেন, ‘স্কুলে প্রবেশের সময় মাস্ক পরিধান আছে কি না সেটা যাচাই, না থাকলে বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া এবং শরীরে তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। এছাড়া শ্রেণিক্ষের ভেতরেও শারীরিক দূরত্ব রেখে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
রঙ-বেরঙের বেলুন আর সতেজ বাহারি ফুলে শ্রেণিকক্ষ আর বিদ্যাঙ্গন সাজানো দেখে এক অভূতপূর্ব রোমাঞ্চ অনুভবের বিবরণ দিতে গিয়ে অঙ্কিতা আরও বলেছেন, খোলার প্রথম দিনে হেডমিস্ট্রেসসহ সকল স্যার-ম্যাডাম গেইটে স্বাগত জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ঘর্মাক্ত ব্যস্ততা অভিভূত করেছে বলে জানান তিনি।
এমনি অভিন্ন প্রাণোচ্ছ্বল অনুভূতি প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তন্মধ্যে মিঠামইন উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের ২০২১ সালের ও ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. আখতার হোসেন ও মনিকা রাণী দাস, মহিষারকান্দি নিজামিয়া মাতলুবুল আলিম মাদরাসার ২০২১ ও ২০২২ সালের আলিম পরীক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার ও জুনায়িদুল ইসলাম, মিঠামইন আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুস্মিতা বৈষ্ণব চৈতী ও অঙ্কন চক্রবর্তী; ইটনা উপজেলায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজের ২০২১ ও ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মিজানুর রহমান ও তাসফিয়া আক্তার, মহেশচন্দ্র সরকারি মডেল শিক্ষানিকেতনের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোখাইয়া জাহান তাইহা ও ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী রাজু হাসান প্রিন্স, বড় হাতকবিলা জাফরীয়া আদর্শ আলিম মাদরাসার ২০২১ ও ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী মোছা, নাজনীন আক্তার ও শহিদুল ইসলাম, ইটনা পূর্বগ্রাম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম ও তৃতীয় শ্রেণির রোজনিনআরা পিউ ও তাসপিয়া আক্তার এবং অষ্টগ্রাম উপজেলায় অষ্টগ্রাম হোসেনিয়া ফাজিল মাদরাসার ২০২১ ও ২০২২ সালে ফাজিল পরীক্ষার্থী মো. আল-আমীন ও তাহমিনা আক্তার, অষ্টগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী আতিকা নুজহাত হীম ও ৯ম শ্রেণির এম তাকবিম ইসলাম, পশ্চিম আব্দুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম ও চতুর্থ শ্রেণির সানজিদা আক্তার ও আশরাফুলসহ অনেকে । তবে শিশু শিক্ষার্থীদের নয়ন জুড়ানো উচ্ছলতা ছিল বাধভাঙা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষাব হার ৭১ শতাংশ হলেও কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর অধ্যুষিত ইটনা উপজেলায় ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ, মিঠামইনে ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ ও অষ্টগ্রামে ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এ নিম্নগামিতা শিক্ষাক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্যতা, ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক বিরূপতা ও দারিদ্র্যতা অন্যতম দায়ী। করোনা এসেছে বুমেরাং হয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই তিনটি উপজেলায় ৩টি কলেজ, একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৪২ হাইস্কুল, ১৬টি মাদরাসা ও ১২টি কেজিসহ ২৪২টি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে।
করোনা পরবর্তী শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বরণ করার বিষয়ে মিঠামইনে তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদা আক্তার জাহান, ইটনার মহেশচন্দ্র সরকারি মডেল শিক্ষানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মো. আবুবক্কর ছিদ্দিক ও অষ্টগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবেশ চন্দ্র দাস বলেন, অনলাইন ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পাঠদান পক্রিয়া চলমান থাকলেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-কার্যক্রের সঙ্গে জড়িত মূল যেসব কর্মকান্ড, তা পূর্ণাঙ্গরূপে সম্ভব হচ্ছিল না। দীর্ঘদিন ছুটির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা যেমন প্রতিষ্ঠানে ফিরতে পেরে খুশিতে আটখানা, তেমনি শিক্ষকরাও অবলম্বন পেয়ে মানসপটে বইছে প্রসন্নতার তৃপ্তি।
মিঠামইনে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী ও ইটনায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ইসলাম উদ্দিন, মহিষারকান্দি নিজামিয়া মাতলুবুল উলুম আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মোবারক হোসেন, ইটনার বড় হাতকবিলা জাফরীয়া আদর্শ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ কাজি মুহা. এরশাদ উদ্দীন ও অষ্টগ্রাম হোসেনিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নূরুল আবসার বলেন, শ্রেণিকক্ষে সশরীরে পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলন সত্যিসত্যিই খুব আবেগঘন একটি মুহূর্ত, যার অপেক্ষায় ছিলাম আমরা সবাই।
আর এদিকে ঠিক ৫৪৪ দিন পর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যাযের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন মুখিয়ে থাকা শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। তাদের মধ্যে কথা হয় মিঠামইন সদরের অনিমা রাণী দাস, চমকপুর গ্রামের মদিনা বেগম, মহিষারকান্দির মো. মোস্তফা মেম্বার ও কাটখালের আবদুল হোসেন; ইটনা সদরের পুতার হাটির মো. লাহুছ মিয়া, বাড়িয়ার পাড়ের সাবাজুল ইসলাম, বাসপাড়ার রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী ও বড় হাতকবিলার মমতাজ বেগম; অষ্টগ্রাম সদরের খান ঠাকুর দীঘির পাড়ের রেখেন আলী, চন্ডিপুর গ্রামের দেবাশীষ দাস ও পশ্চিম আব্দুল্লাপুরের ফজলুর রহমানের সঙ্গে। করোনার করুণ পরিস্থিতিতে সন্তানদের পড়ালেখার ভবিষ্যৎ নিয়ে এতদিন শঙ্কিত ছিলেন বলে জানান তারা।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিও) সুব্রত কুমার বণিক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিইও) শামছুন নাহার মাকছুদা ইতোমধ্যে হাওরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার কথা উল্লেখ করে বলেন, বৈশ্বিক নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমে যাওয়ায় স্কুল-কলেজ সীমিত পরিসরে ক্লাস খুলে দেওয়া হলেও মূলত এক্ষেত্রে সরকারের ১৯ দফা শর্ত রয়েছে। এসব শর্ত ঠিক মতো পালিত হচ্ছে কি না এবং খোলার পর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কেমন হয় তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে কর্তৃপক্ষ।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। তারই বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের তিনবারের নির্বাচিত এমপি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, শিক্ষার মান এবং দীর্ঘদিন পর আবার শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত কাজ। কেননা, সরকার প্রথম থেকেই টিভি ও অনলাইন শিক্ষা চালু রাখতে সচেষ্ট ছিলেন।
প্রত্যেকের নিজের সুরক্ষার কথা ভেবে বিপদ এড়াতে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রতি জোর তাগিদ দিয়ে বলেন, শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে যেমন গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষা, তেমনি মহামারিকালীন সময়ে যুক্ত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। অন্যথায় জীবন বিপন্নে পড়বে।
এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা ব্যক্ত করে এমপি তৌফিক বলেন, শিক্ষার্থীরা ফের যাত্রা শুরু করেছে ভবিষ্যতের দিকে; তা যেন স্বাস্থ্যবিধি অমান্যতায় থেমে না যায়। দেশে করোনা সংক্রমণের হার নেমে এসেছে ৭ শতাংশে। এই নিম্নমুখী প্রবণতা ধরে রাখতে অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সবারই দায়িত্বপূর্ণ আচরণের দাবি রাখে। কেননা, এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী সংক্রমণের খবর মিলছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্ন করাসহ মোট ১৯ দফা নির্দেশনা অনুসরণ করে ৯ সেপ্টম্বরের মধ্যে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সব স্কুল-কলেজকে নির্দেশনা দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে আলাদাভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনাসহ বেশকিছু সতর্কতা ও সচেতনতামূলক নির্দেশনা জারি করা হয়। এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য মৌলিক ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একটি গাইডলাইন দিয়ে সেই মোতাবেক স্কুল-কলেজে ক্লাস রুটিন তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যার ভিত্তিতে চলছে করোনার ছুটির পর শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম।
সারাবাংলা/একে