চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর আলোচিত ‘নাগিন পাহাড়’ কেটে স্থাপনা নির্মাণের প্রমাণ পেয়ে ১৬ জনকে ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর। অর্থদণ্ডে দণ্ডিত ১৬ জনের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আছেন।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী পাহাড় কাটা সংক্রান্ত নোটিশের ওপর শুনানি শেষে তাদের জরিমানা দেওয়ার আদেশ দেন।
এর আগে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক, জুনিয়র কেমিস্ট মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ও পরিদর্শক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন নাগিন পাহাড় পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনে তারা দেখতে পান, নাগিন পাহাড়ের কেটে চারদিকে গড়ে উঠছে স্থাপনা। এসব স্থাপনায় নাম উল্লেখ করে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। আবার দেওয়ালে লিখেও মালিক সেজেছেন অনেকে। পাহাড়ের পাদদেশে কেউ ট্রাক দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। কেউ গ্যারেজ করছেন। আবার কেউ টিন-বাঁশের ঘেরা দিয়ে দখল করেছেন। আবার পাহাড়টির পাদদেশেও অনেক স্থাপনা তৈরি হয়েছে।
সাইনবোর্ড দেখে প্রথম দফায় ১৬ জনকে শুনানিতে হাজিরের নোটিশ দেওয়া হয়। রোববার তাদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়েছে।
শুনানির পর পাহাড় কাটার দায়ে শফিউল আলমকে দুই দফায় যথাক্রমে ৩ লাখ ৬০ হাজার ও ১ লাখ ৮০ হাজার, মোজাম্মেল হক জাফরকে ২ লাখ ৪০ হাজার, জাফর আলমকে ১ লাখ ৬০ হাজার, মোহাম্মদ শফিকে ১ লাখ ৪০ হাজার, নুরুল আবছারকে দেড় লাখ এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নিলুফার বেগম, আনোয়ার পাশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মীর আহম্মদ, এমদাদউল্লাহ, মোহাম্মদ মুছা, ফিরোজ আহম্মদ, সাইদুল আলম ইফতি, ফজলুল রহমান ও মোস্তফা হাকিমকে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘নাগিন পাহাড় একবার পরিদর্শনের পর আমরা ১৬ জনকে নোটিশ দিয়েছিলাম। তাদের জরিমানা করা হয়েছে। সেখানে আরও অনেকে পাহাড় কাটছে। আমরা চলতি সপ্তাহে আবার পরিদর্শন করব। আবার নোটিশ দেওয়া হবে। নাগিন পাহাড় কর্তনের বিরুদ্ধে আমাদের পদক্ষেপ চলমান থাকবে।’
এদিকে পরিবেশ অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, নগরীর পশ্চিম খুলশীর কৃষ্ণচূড়া আবাসিক এলাকায় ছাড়পত্র ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণ করায় পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডিতরা হলেন- তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, ইকরামুল বাসার, বোরহান উদ্দিন, তৌফিকুর রহমান এবং মাহবুবুল আলম।