‘২৪ কোটি ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ’
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:২১
ঢাকা: নিজেদের কেনা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় সরকার করোনাভাইরাসের ২৪ কোটি ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন— চীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ২৪ কোটি ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা রয়েছে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এছাড়াও চীনের কাছ থেকে ৭ কোটি ডোজ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি হয়েছে।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ৫২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজের ২ কোটি ৪২ লাখ ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজসহ মোট ৪ কোটি ২ লাখ ডোজ মানুষকে দেওয়া হয়েছে। এখনো হাতে দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগও চলমান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস এ নিয়ে চীনের সঙ্গে কাজ করছে। আমি যতটুকু জানি, তাদের কাজকর্ম চলমান। তারা যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আশা করি সেভাবেই তা বাস্তবায়ন করবে। আমাদের ভ্যাকসিনের কোনো ঘাটতি হবে না। ডিসেম্বরের মধ্যে নিজেদের কেনা ও কোভ্যাক্স সহায়তা মিলে যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন পাব।
২৮ সেপ্টেম্বর কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে?— গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এবারও সিনোফার্মের ভ্যাকসিনই দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আগে সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে মডার্নার ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও এবার সেগুলোতেও সিনোফার্মের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাসহ লাইন ডিরেক্টর ও গণমাধ্যমকর্মীরা যুক্ত ছিলেন।
ফাইল ছবি
সারাবাংলা/এসবি/টিআর