Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:০৫

ঢাকা: দেশের খামারিদের স্বার্থ রক্ষার্থে দ্রুত সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধ করুন, ডেইরি পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্প রক্ষা করুন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে ইমরান হোসেন বলেন, দ্রুত সময়ে দেশ থেকে সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধ করতে হবে। এটি বন্ধ না হলে দেশের পোল্ট্রি ও মৎস্যসহ প্রাণিসম্পদ খাতে খাদ্য দাম বেড়ে যাবে। এতে করে খামারিরা বড় ধরনের লোকসানে পড়বে। তাই সয়াবিন মিল রফতানি দেশের জন্য হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, সয়াবিন মিল রফাতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, এমন খবরে স্থানীয় সয়াবিন মিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সয়াবিন মিলের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বৃদ্ধি করেছে। সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধ ঘোষণা দ্রুত দেওয়া দরকার। তা নাহলে দেশের পোল্ট্রি শিল্প, মৎস্যসহ প্রাণিসম্পদ খাতে খাদ্য দাম বেড়ে যাবে। খামারিরা বড় ধরনের লোকসানে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, গত ঈদে ২৯ লাখ গবাদিপশু অবিক্রিত রয়ে গেছে। খামারিদের লোকসান কমাতে আমরা ভারত থেকে হিমায়িত মহিষের মাংস আমদানি বন্ধ রাখতে বলছিলাম। সংশ্লিষ্ট সচিব বলার পর চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে মাংস ঢুকছে। আমরা এই হিমায়িত মাংস আমদানি বন্ধের দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে চাহিদার সয়াবিন মিল দেশীয় সয়াবিন তৈল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও ভারত, আমেরিকা, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। আমাদের দেশে সয়াবিন মিল এর মোট চাহিদা বছরে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ দেশিয় সয়াবিন তৈল উৎপাদকারি প্রতিষ্ঠান হতে এবং অবশিষ্ট ২০ থেকে ২৫ ভাগ আমদানির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ডিম, মাছ, মুরগি উৎপাদনে মোট খরচের প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ খরচই হয় ফিল্ড কেনা বাবদ। তাই ফিডের দাম বাড়লে খামারিদের উৎপাদন খরচ বাড়বে। অন্যদিকে খরচের বিপরীতে পণ্যের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় বড় অংকের লোকসানের মুখে পড়তে হবে খামারিদের।

আয়োজকরা আরও জানান, দেশের মানুষের স্বার্থে শূন্য শুল্ক সুবিধায় আনা সেই সয়াবিন সিড থেকে উৎপাদিত সয়াবিন মিলই এখন ৩ থেকে ৪টি সয়াবিন তৈল উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান মুনাফার স্বার্থে রফতানি করছে। অতীতে কখনও ভারতে সয়াবিন সিড কিংবা সয়াবিন মিল রফতানি হয়নি বরং ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সয়াবিন মিল আমদানি করা হয়ে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ সভাপতি আলী আজম রহমান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান, অর্থ সম্পাদক জাফর আহমেদ পাটোয়ারী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিব উল্লাহ প্রমুখ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এএম

সয়াবিন মিল

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিপদসীমার ওপরে পানি, ৪৪ জলকপাট খোলা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৬

তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৪

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর