অনিবন্ধিত ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৪৯
ঢাকা: সারাদেশে অননুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তদন্ত করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে গঠিত ওই বিশেষ কমিটি আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে অননুমোদিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে আদালতে জমা দেবেন।
তদন্ত চলাকালে কোনো অননুমোদিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সেগুলো বন্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চড়া সুদে ঋণদানকারী স্থানীয় মহাজনদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জানান, আদালত নির্দেশ দিয়ে বলেছেন যে, কারা কারা লাইসেন্স ছাড়া সুদের ব্যবসা (ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা) করে তাদের তালিকা তৈরি করতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই কমিটি তদন্ত করে একটি তালিকা তৈরি করবেন। ওই তালিকা আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দেবেন। আর তদন্ত চলাকালে লাইসেন্স ছাড়া প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে পুলিশের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক ওই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া চড়া সুদে ঋণদানকারী স্থানীয় মহাজনদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চড়া সুদে ঋণের জালে কৃষকেরা’ শিরোনামে গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক রিট করেন। রিটে মহাজনদের উচ্চহারে অনানুষ্ঠানিক ঋণ প্রদান নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এ ছাড়া চড়া সুদে অনানুষ্ঠানিকভাবে মহাজনদের ঋণ দেওয়া রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব–বহির্ভূত ঘোষণা এবং সারাদেশে চড়া সুদে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়।
আবেদনে অর্থসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ১৩৬ ব্যক্তিকে বিবাদী করা হয়েছিল।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম