Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘করোনার মহামারি কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পর্যটন শিল্প’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৫৩

ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষত কাটিয়ে পর্যটন শিল্প আবার এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কুকিং শো এবং ঘোড়ার গাড়ির র‌্যালির উদ্বোধন করেন।

বিজ্ঞাপন

মাহবুব আলী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সারাবিশ্বের পর্যটন শিল্প একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংক্রমণের কারণে একটি দীর্ঘ সময় পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে হয়েছে। কোভিড-১৯-এর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প খাতগুলোর মধ্যে পর্যটন অন্যতম। বাংলাদেশও বৈশ্বিক এই পরিস্থিতির বাইরে নয়।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ব্যবসা করতে না পারায় আমাদের পর্যটন শিল্পের আর্থিক ক্ষতি অনেক। বর্তমানে দেশে সংক্রমণ কমে আসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন স্পটগুলো ও এ শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে সব পর্যটন কেন্দ্র। করোনার এই সময়েও প্রায় ২ কোটি অভ্যন্তরীণ পর্যটক দেশের ভেতরে ভ্রমণ করেছেন। গতি ফিরতে শুরু করেছে দেশের পর্যটন শিল্পে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন এ দেশের গণমানুষের মুক্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন পদ্ধতির মাধ্যমেই এ দেশের সাফল্য নিশ্চিত হবে। বিশ্ব পর্যটন দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য— ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধিতে পর্যটন’ আসলে বঙ্গবন্ধুর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন দর্শনকেই প্রতিফলিত করছে। বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ। আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ পর্যটন পণ্য। পর্যটন শিল্পের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য কাজ করছে। সমগ্র দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে তৈরি হয়েছে উপযুক্ত পরিবেশ।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে পর্যটন খাতে এখন পর্যন্ত মোট কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের। ২০১৯ সালে দেশের জাতীয় আয়ে পর্যটন খাতের অবদান ছিল ৯৫০ দশমিক ৭ বিলিয়ন টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ অদূর ভবিষ্যতে তা ৬ শতাংশে পরিণত হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হচ্ছে। কেবল কক্সবাজারেই তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পার্ক তিনটির কাজ সমাপ্তির পর প্রতিবছরে এতে বাড়তি ২শ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

মাহবুব আরও বলেন, করোনা মহামারির কারণে আমাদের পর্যটন শিল্পের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠার জন্য সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন উপখাতের ব্যবসায় জড়িত পর্যটন অংশীজনদের সহায়তার জন্য এখন পর্যন্ত দেড় হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ যদি আর না বাড়ে তাহলে আমরা আমাদের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

আলোচনা সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী পর্যটন শিল্প

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর