Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গ্রাম প্রতিরক্ষা দলনেতাদের চাকরি কেন জাতীয়করণ নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৫৫

ঢাকা: বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড নেতাদের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গ্রাম প্রতিরক্ষা দল আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী চাকরিবিধি প্রণয়ন করতে এবং প্রবিধানমালা প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জের গ্রাম প্রতিরক্ষা দলনেতা মুহাম্মদ শেখ ফরিদসহ ২৬ জনের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, আনসার ভিডিপি মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তার সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ কাওছার এবং মো. মাজেদুল কাদের।

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, ‘সারাদেশের ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে প্রায় ২৫ হাজার গ্রাম প্রতিরক্ষা দলনেতা ও সদস্য ৫০টিরও বেশি কাজ করেন। দুর্যোগ মুহূর্তে তারা সরকারের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তারা ন্যায্য বেতন এবং সম্মান পাচ্ছেন না। বর্তমানে তারা প্রতিমাসে বেতন পান মাত্র ২ হাজার ৫০০ টাকা। যা শ্রম আইন অনুযায়ী একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতনের অর্ধেকের চেয়েও কম।

এ কারণে সিরাজগঞ্জের গ্রাম প্রতিরক্ষা দলনেতা মুহাম্মদ শেখ ফরিদসহ ২৬ জন তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর চেয়ে হাইকোর্টের রিট দায়ের করেন। আজ এই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। আদালত স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, আনসার ভিডিপি মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তখন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গত ৬ জুন তাদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী মো. মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, মোহাম্মদ কাওছার এবং মো. মাজেদুল কাদের রিটটি দায়ের করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দলনেতাদের পদ আইনের দ্বারা সৃষ্ট করা পদ। তাই তারা সরকারের রাজস্বখাত থেকে বেতন পাওয়ার অধিকারী এবং জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত করা হয়নি। যা আইনের ব্যত্যয় এবং তাদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

রিটে আরও বলা হয়, বর্তমানে একজন ইউনিয়ন দলনেতা মাসিক দুই হাজার ৫০০ টাকা বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন। যা একজন শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত সর্বনিম্ন বেতনের চেয়ে অনেক কম। অথচ তারা ৫০টিরও বেশি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। দুর্যোগ মুহূর্তে সরকারের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। অথচ তারা ন্যায্য বেতন এবং সম্মান পাচ্ছেন না। যেটা বাংলাদেশের সংবিধানের লঙ্ঘন।

দীর্ঘ ২৫ বছরেও কোনো ধরনের চাকরি বিধিমালা না হওয়ায় গ্রাম প্রতিরক্ষার ইউনিয়ন দলনেতারা এবং অন্যান্য সদস্যরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে রিটে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে সারাদেশের ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে প্রায় ২৫ হাজার গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস

গ্রাম প্রতিরক্ষা