গণটিকায় স্তন্যদানকারী মা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ভ্যাকসিন নয়
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:০২
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম চলছে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর গণটিকা কর্মসূচি চালাবে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গণটিকা কার্যক্রমে ৭৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হলেও এদিন স্তন্যদানকারী মা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে সংযুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘গণটিকাদান কর্মসূচিতে আমরা শুধু প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেব। একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব মালামাল সারাদেশে সরবরাহ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পেইন শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ চলবে। শেষ ভ্যাকসিন দেওয়ার পরও আমাদের টিম এক ঘণ্টা অবস্থান করবে। স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিনেশনের সময় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। কোনোভাবেই আমাদের ইপিআই সেশনের ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ রাখা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ক্যাম্পেইনে আগে থেকে নির্ধারিত ২৫ বছর বয়সী বা তদূর্ধ্বদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এখানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে চল্লিশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে। সেইসঙ্গে বয়স্ক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আমরা বিবেচনায় রাখব।’
এছাড়া স্তন্যদানকারী মা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হবে না বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ডভিত্তিক একটি করে বুথ, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের কেন্দ্রে একটি করে বুথ এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বুথের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সারা দেশে আগে থেকে যেসব কেন্দ্রে ভ্যাকসিন কর্মসূচি চলছিল সেগুলো অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বয়স্ক যারা আসবেন ভ্যাকসিন নিতে আসবেন তাদের জন্য বসার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং প্রত্যেককে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অবশ্যই ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।’ ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভ্যাকসিন কার্ড সঙ্গে আনতে হবে বলেও জানান অধ্যাপক ডা. খুরশিদ আলম।
বিশেষ এই টিকাদান কার্যক্রম চলাকালে সরকারের নিয়মিত সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না জানিয়ে সেটি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
এর আগে, রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। তার জন্মদিনেই এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। আপাতত একদিনের জন্য এই ক্যাম্পেইন চলবে। সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম দুই ঘণ্টায় বয়স্কদের প্রাধান্য দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নিয়মিত কর্মসূচিতেও প্রতিদিন ছয় লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার টার্গেট ধরা হয়েছে। প্রয়োজনে একাধিক শিফটে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম