আইসিডিডিআর’বি-র জীবন রক্ষাকারী গবেষণা ‘অনুপ্রেরণামূলক’
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:২৮
ঢাকা: আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর’বি) জীবন রক্ষাকারী গবেষণাকে অনুপ্রেরণামূলক বলে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান। আইসিডিডিআর,বি এবং এর সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত আইসিডিডিআর,বি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।
ওসমান তুরান বলেন, তুরস্ক বর্তমানে টার্কোভ্যাক নামে কোভিড-১৯ এর একটি ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে আমরা এটিকে অন্যান্য দেশের জন্য সহজপ্রাপ্য করতে চাই এবং কিভাবে এবিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করা যায় তার উপায় অনুসন্ধান করছি।
তিনি বলেন, আজ আমরা এই সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের (আইসিডিডিআর’বি) কাজ সম্পর্কে সরাসরি তথ্য জানতে পারলাম। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করে চলেছে। আপনারা যা করেন তা সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিডিডিআর’বি জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত এবং তুরস্ক দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি গিজেম আইডিন আরডেমকে আইসিডিডিআর,বি-র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ স্বাগত জানান। ড. আহমেদ তাদের উদ্দেশ্যে আইসিডিডিআর,বি সম্পর্কিত একটি সামগ্রিক চিত্র উপস্থাপন করেন এবং কিভাবে এই প্রতিষ্ঠান বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে এবং দক্ষিণ বিশ্বে একটি সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত হয়েছে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাধারণ ও বাস্তবায়নমুখী গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে এবং এর জ্ঞানকে জনস্বাস্থ্য কার্যক্রমে পরিণত করে আইসিডিডিআর,বি কিভাবে বিশ্বের নিম্ন ও মাঝারি আয়ের দেশগুলো যেসব জটিল সমস্যার সম্মুখীন তা সমাধান করে থাকে তা তিনি ব্যাখ্যা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত আইসিডিডিআর,বি-র মিউকোজাল ইমিউনোলজি অ্যান্ড ভ্যাক্সিনোলজি ল্যাবরেটরি ঘুরে দেখেন। আইসিডিডিআর,বি-র সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. ফেরদৌসী কাদরী ল্যাবের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদর্শন করেন, যা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ও ভ্যাকসিন গবেষণায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত তুরান কেবল আইসিডিডিআর,বি-র গবেষণা কর্মকাণ্ডের বিশাল পরিধি দেখেই মুগ্ধ হননি, বরং তিনি বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বের বিপন্ন মানুষের সেবায় কত সহজে গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প খরচের সমাধানে আইসিডিডিআর,বি ভূমিকা রাখে তা দেখেও অভিভূত হন। তিনি আরও গবেষণা, অর্থায়ন ও সহযোগিতামূলক কাজের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তার মন্তব্যে তিনি ড. তাহমিদ আহমেদ এবং আইসিডিডিআর,বি-র বিজ্ঞানী ও গবেষকদেরকে ধন্যবাদ জানান।
ড. আহমেদ রাষ্ট্রদূতকে জনস্বাস্থ্য গবেষণায় নিয়োজিত তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা গড়ে তুলতে আইসিডিডিআর,বি-কে সহায়তা করার অনুরোধ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিডিডিআর,বি-র সিনিয়র লিডারশিপ টিমের সদস্যরাও।
সারাবাংলা/এসবি/এনএস