জালিয়াতির দায়ে ভূমি অফিসের সাবেক কর্মকর্তার ২৩ বছরের কারাদণ্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৩৩
নোয়াখালী: সদর উপজেলার সাবেক সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কবির আহমদকে ২৩ বছর ও সামছুল হক ওরফে সামছু উদ্দিনকে নামে আরেক ব্যক্তিকে ১৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জালিয়াতি, প্রতারণা ও দুর্নীতির দায়ে তাদের এই সাজা দেওয়া হয়।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালত-১ এর বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এই রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পনের মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চর জব্বর মৌজার সাড়ে ৪ একর ভূমির মালিক ও দখলদার এই মামলার বাদীপক্ষ। জরিপের ভুলে ২নং আসামি সামছুল হকের নামে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে ২৩২৪৯/২০১২ নং আপিল মামলা দায়ের করা হয়। সেই আপিল মামলায় বিবাদী পক্ষের নাম কেটে বাদি পক্ষের নাম লিপিবদ্ধ ও তামিল খতিয়ান করার আদেশ হয়। সে মোতাবেক ১নং বিবাদী বাদীপক্ষের নামে তামিল খতিয়ান ইস্যু করেন।
তবে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কবির আহমদ বাদীর কাছ থেকে সংশোধনের কথা বলে সরবরাহকৃত জাবেদা নকল ও তামিল খতিয়ানের মূলকপি নিয়ে যায়। ওই রেকর্ড ফেরত চাইলেও তিনি সেসব কাগজ আর ফেরত দেয়নি। জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সরকারী রেজিস্ট্রার ও মামলার নথিতে থাকা রায় পরিবর্তন করে ২নং বিবাদীর নামে রেকর্ড বহাল করেন।
এভাবে বিবাদী দণ্ডবিধির ১৬৭/৪২০/৪৬৬/৪৬৮/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সামছুল হক আপিলে হেরে গিয়ে ৪২ ধারার ক্ষমতাবলে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের কাছে আপিল না করে আপিল অফিসারকে প্রভাবিত করে আদেশ সংশোধনের আইনগত ক্ষমতা না থাকার পরও আদেশ সংশোধনের সার্টিফাইড কপি এবং খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি নেন। এভাবে তারা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি রেকর্ড নষ্ট করেন।
সব অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
সারাবাংলা/এমও