Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইআইইউসি’র টাকা আত্মসাত, জামায়াতের সাবেক এমপি শামসুল রিমান্ডে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:০৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আ ন ম শামসুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন এ আদেশ দিয়েছেন।

রিমান্ড আবেদনের শুনানির সময় কারাগারে থাকা আ ন ম শামসুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। শামসুল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে নির্বাচিত জামায়াত দলীয় সাবেক সাংসদ ও নগর কমিটির সাবেক আমীর।

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) ১৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩১৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আ ন ম শামসুল ইসলামসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ৬ আগস্ট সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ড. হুমায়ন কবির মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিমাত্র ব্যাংকে হিসাব ও লেনদেনের কথা। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল ইসলামসহ তার অনুসারী ১০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং আরও কয়েকজন পরস্পরের যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলে ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩১৫ টাকা আত্মসাত করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই মামলায় সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ শামসুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত শুনানি শেষে দুইদিন মঞ্জুর করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সীতাকুণ্ডের কুমিরায় পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ৪৩ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ আছে, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে জড়িত ছাড়া কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় না। শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাই করে ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা হয়। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়টি নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা ও সংঘটনের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। শুরু থেকেই গোলাম আজমসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতারাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপথ্যের নিয়ন্ত্রক ছিলেন, যাদের প্রায় সবাই মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন। ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের একপর্যায়ে ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াত ঘরানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বর্জনের যে জোরালো দাবি উঠেছিল, তাতে এই আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও ছিল।

দীর্ঘসময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে এর ওপর একক নিয়ন্ত্রণ ছিল আ ন ম শামসুল ইসলাম ও তার অনুসারীদের। কিন্তু চলতি বছরের মার্চে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষক ও সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভীকে দায়িত্ব দেয়। এর মধ্য দিয়ে শামসুলের একক কর্তৃত্ব খর্ব হয় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

আ ন ম শামসুল ইসলাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিমান্ড মঞ্জুর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর