Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের যেসব নির্দেশনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:৪৯

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম চলছে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর একদিন গণটিকা কর্মসূচি চালাবে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ দিন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে দেশের সকল কেন্দ্রে। ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভ্যাকসিন কার্ড নিয়ে যেতে হবে। এ দিন ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমএনসিএন্ডএএইচ শাখার পরিচালক ও ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা.শামসুল হকের সই করা এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা বিষয়ে জানানো হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

২৮ সেপ্টেম্বর ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা:

১- এ দিন সারাদেশের সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়নে দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।

২- সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে।

৩- ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।

৪- পরবর্তী মাসে একইভাবে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

৫- ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম ২ ঘণ্টা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ নাগরিক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

৬- ক্যাম্পেইনের আগে যারা ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন তার মাঝে ২৫ বছর ও তার বেশি বয়ষ্কদের এসএমএস দেওয়ার মাধ্যমে অবহিত করে কেন্দ্রে ডাকা হবে।

৭- ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য এনআইডি কার্ড ও সুরক্ষায় নিবন্ধনের পরে পাওয়া ভ্যাকসিন কার্ড সঙ্গে নিতে হবে।

৮- ক্যাম্পেইনে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না।

৯- ভ্যাকসিন নিতে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরে যেতে হবে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও সার্বক্ষণিক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ভ্যাকসিন কিংবা মাস্ক কোনটিই শতভাগ সুরক্ষা দেয় না তাই উভয়ের যোগফলেই সুরক্ষা জোরদার হয়।

১০- নিয়মিত ইপিআই টিকাদান সেশন পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী চলমান থাকবে। নিয়মিত ইপিআই টিকাদান সেশন কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না।

বিজ্ঞাপন

ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র পরিচালনার জন্য নির্দেশনা:

১- কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনের জন্য সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি ইউনিয়নের যেকোনো একটি ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে ৩টি বুথ, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে একটি বুথ এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বুথের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।

২- প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার (পৌরসভা), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সমন্বয়ের মাধ্যমে ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রের স্থান নির্ধারণ করবেন।

৩- সারাদেশে পূর্ব থেকে চলমান সকল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রসমূহে যে নিয়মে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সেশন চলছে তা অব্যহত থাকবে।

৪- অপেক্ষমান বয়স্ক ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের বসার ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রে।

৫- ভ্যাকসিন গ্রহণ শেষে প্রত্যেককে নির্দিষ্ট অপেক্ষমান স্থানে কমপক্ষে ৩০ মিনিট অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

৬- নারীদের জন্য আলাদা পর্দা ঘেরা স্থানে ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র পরিচালনা করার নির্দেশনা:

উপজেলা পর্যায়:

১- ইউনিয়নের সাবেক যেকোনো একটি ওয়ার্ডে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

২- স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রতি ইউনিয়নে যেকোনো একটি ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদ। নিকটবর্তী প্রতিষ্ঠানে (ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। ইউনিয়ন সাব-সেন্টার) তিনটি টিমের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করবেন।

পৌরসভা পর্যায়:

১- প্রতি ওয়ার্ডে নিয়মিত ইপিআই  ভ্যাকসিনদান কেন্দ্র ঠিক রেখে একটি টিমের (২ জন ভ্যাকসিনেটর এবং তিন জন স্বেচ্ছাসেবী) মাধ্যমে ঐ কেন্দ্রে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান সেশন চলবে।

২- পৌরসভা সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগণের সঙ্গে সমন্বয় করে একইভাবে ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করবেন।

সিটি করপোরেশন পর্যায়:

১- সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বুথের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।

২- স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি/ কেন্দ্র সম্প্রসারণ করতে পারবেন।

ভ্যাকসিনেশন টিমের জন্য নির্দেশনা:

১- ইউনিয়ন পর্যায়ের ওয়ার্ডের প্রতিটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের তিনটি বুথে তিনটি টিম থাকবে (নিজ ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী এবং পরিবার কল্যাণ সহকারীসহ অবশিষ্ট দুইটি ওয়ার্ডের চার জন স্বাস্থ্য সহকারী এবং পরিবার কল্যাণ সহকারী)।

২- প্রতিটি টিমে দুই জন ভ্যাকসিনেটর এবং তিনজন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।

৩- উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়ন ১৫০০ বা তদূর্ধ্ব, পৌরসভা পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ড ৫০০ বা তদূর্ধ্ব এবং সিটি করপোরেশন পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ড ১০০০ বা তদূর্ধ্ব মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবেন।

রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে নির্দেশনা:

১- কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য সকলের এনআইডি কার্ড থাকতে হবে।

২- বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের আওতাধীন এলাকার যারা পূর্বে রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু কোভিড-১৯ -এর কোনো ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি এবং নতুন নিবন্ধিতদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।

৩- ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনসহ ভ্যাকসিনের তথ্য লিপিবদ্ধ করতে হবে। সকল তথ্য অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিনের পূর্বেই হালনাগাদ করতে হবে।

৪- রেজিস্ট্রেশনের তথ্য প্রতিদিন জাতীয় পর্যায়ের এমআইএস, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ই-মেইলে পাঠাতে হবে। প্রতিদিন জাতীয় পর্যায়ে এই রিপোর্টে বিশ্লেষণপূর্বক ফিডব্যাক দেওয়া হবে।

৫- পরিসংখ্যানবিদ/ আইটি ইনচার্জ এই ক্যাম্পেইনের অনলাইন ডাটা এন্ট্রি ও রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য এমআইএস-এর সংশ্লিষ্টদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ বা সমন্বয় করবেন।

ভ্যাকসিন প্রয়োগের রিপোর্ট প্রস্তুত এবং পাঠানো বিষয়ে নির্দেশনা:

• ভ্যাকসিন প্রদানের পর ভ্যাকসিন প্রদান টিম রিপোর্ট তৈরি করে নিজ নিজ উপজেলা এবং পৌরসভায় পাঠাবেন। এই রিপোর্টের ফরমের একটি কপি ভ্যাকসিনদান কর্মী নিজের কাছে সংরক্ষণ করবেন। সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনদান টিম রিপোর্ট তৈরি করে নিজ নিজ ওয়ার্ড, জোন, সিটি করপোরেশনে পাঠাবেন।

• এই রিপোর্টে প্রতিদিন জাতীয় পর্যায়ের মেইলে জানানো হবে । যা পরবর্তীতে বিশ্লেষন করে ফিডব্যাক প্রদান করা হবে।

ভ্যাকসিন, লজিস্টিকস এবং মাইক্রোপ্ল্যান বিষয়ে নির্দেশনা:

১- ইপিআই সদর দফতর থেকে জেলায় ভ্যাকসিন ও লজিস্টিকস সরবরাহ করা হবে।

২- জেলা থেকে সিটি করপোরেশন, উপজেলা এবং পৌরসভার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ভ্যাকসিন ও লজিস্টিকস সরবরাহ করবেন।

৩- সিটি করপোরেশন, উপজেলা এবং পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে মাইক্রোপ্ল্যান/সেশন প্ল্যান তৈরি করবেন।

৪- কোভিড-১৯ মাইক্রোপ্ল্যান ফর্মে ভ্যাকসিনদান কেন্দ্রের নাম, ওয়ার্ড, ভ্যাকসিন ও লজিস্টিকস ডিস্ট্রিবিউশন, ভ্যাকসিনদান সেশন প্ল্যান, ভ্যাকসিনদান কর্মী/ভ্যাকসিনেটর, স্বেচ্ছাসেবী, পোর্টার, প্রথম সারির তদারককারী ইত্যাদি তথ্য সংযুক্ত থাকবে (সফট কপি ইপিআই থেকে প্রেরণ করা হয়েছে)।

সমন্বয় সভা, অ্যাডভোকেসি সভা ও প্রচার বিষয়ে নির্দেশনা:

১- সিটি করপোরেশন, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের কোভিড-১৯ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।

২- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা স্বাপেক্ষে সমন্বয়ের মাধ্যমে ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রের স্থান ঠিক করবেন। এছাড়াও ক্যাম্পেইনে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনদান কেন্দ্রে সমবেত করার জন্য স্থানীয় প্রতিনিধি এবং প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবেন।

৩- ক্যাম্পেইনের পূর্বে এবং চলাকালীন নির্দিষ্ট তারিখে প্রতি ইউনিয়নে মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনগণের কাছে ক্যাম্পেইনের বার্তা পৌঁছাতে হবে। এছাড়াও ক্যাম্পেইনের আগে এবং ক্যাম্পেইনের দিন স্থানীয় মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়ের মাইক ব্যবহার করে জনগণকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

৪- ক্যাম্পেইনের পূর্বে রেজিস্ট্রেশনকৃত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন (ওয়ার্ডের বাসিন্দারা কোন স্থানে ভ্যাকসিন নেবেন তা মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানাতে হবে।

৫- এক ইউনিয়ন/ ওয়ার্ডের বাসিন্দাগণ অন্য ইউনিয়ন/ ওয়ার্ডে টিকা নিতে পারবেন না। ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে ও যে কোন জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টরা সমন্বয় সভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এইএফআই (AEFI) ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে নির্দেশনা:

১- এইএফআই ফোকাল পারসন নির্ধারণসহ প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য এইএফআই  ব্যবস্থাপনা দল গঠন করতে হবে।

২- জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য দলটি সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবেন। এইএফআই ব্যবস্থাপনা দলের সঙ্গে এইএফআই কিট থাকতে হবে।

৩- জরুরি অ্যাম্বুলেন্স/ যানবাহনের ব্যবস্থা রাখা এবং প্রয়োজনবোধে ভ্যাকসিন গ্রহণকারীকে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্র/ হাসপাতাল/ টারসিয়ারি/ বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪- প্রতিটি ভ্যাকসিনেশন টিমের কাছে এইএফআই ব্যবস্থাপনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের ঠিকানা, এইএফআই (AEFI) ফোকাল পারসনের নাম ও মােবাইল নাম্বার থাকতে হবে।

৫- ভ্যাকসিন গ্রহণের পর কোন ব্যক্তি মারাত্মক এইএফআই (AEFI)/ অ্যানাফাইলেক্সিস কেস হিসেবে শনাক্ত হলে তাকে উপজেলার ক্ষেত্রে নিকটস্থ পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সদর উপজেলা/পৌরসভার ক্ষেত্রে জেলা সদর হাসপাতাল। উল্লেখ্য যে, এরূপ রেফারেলের ক্ষেত্রে টিকা কেন্দ্র হতে নিকটবর্তী হাসপাতাল নির্বাচন করা বাঞ্ছনীয়।

৬- উক্ত রোগী সম্পর্কে রেফারেল হাসপাতালের এইএফআই ফোকাল পয়েন্টকে অবহিত করতে হবে।

৭- রেফারেল সেন্টারসমূহে পৌঁছানোর পর অ্যানাফাইলেক্সিস ব্যস্থাপনার ধাপসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসরণ করতে হবে।

৮- কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরবর্তী যে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া রিপোর্ট করা আবশ্যক।

৯- কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সম্পর্কিত এইএফআই রিপোর্ট করার জন্য অনলাইন রিপোর্টিং ব্যবস্থার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

১০- মৃদু প্রতিক্রিয়া বা টিকাদানের স্থানে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, লালচে ভাব ও জ্বর এসকল ঘটনাও রিপোর্ট করতে হবে। প্রত্যেক রিপোর্টারের নিকট রিপোর্ট ফর্মসমূহ অবশ্যই থাকতে হবে। http://covid19pv.dgda.gov.bd লিংকের মাধ্যমে এইএফআই রিপোর্ট করতে হবে।

নিরাপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নির্দেশনা:

১- সেফটি বক্স ব্যবহার করে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ সংরক্ষণ করতে হবে।

২- ব্যবহৃত তিন-চতুর্থাংশ ভর্তি সেফটি বক্স এবং বর্জ্য অপসারণ ব্যাগ (যেমনঃ অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, সিরিঞ্জের প্লাস্টিক/ কাগজের কাভার ইত্যাদি এবং সম্পূর্ণ বা আংশিক ব্যবহৃত ভায়াল) চুড়ান্ত অপসারণ পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩- চূড়ান্ত অপসারণের পর কতগুলো ভায়াল এবং কি পদ্ধতিতে অপসারণ করা হয়েছে তা উল্লেখ করে কমিটির সকলের স্বাক্ষরিত রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।

কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন বিষয়ে নির্দেশনা: 

১- ক্যাম্পেইন চলাকালে কেন্দ্রগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অযাচিত ভিড় পরিহার করতে হবে।

২- স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে আগত সকলের সঠিক পদ্ধতিতে মাস্ক পরিধান, শারীরিক দুরত্ব (৩ ফুট) বজায় রাখা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার প্রভৃতির যথাযথ প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

৩- টিকাদানকারী ও স্বেচ্ছাসেবীদেরকেও সঠিক পদ্ধতিতে মাস্ক পরিধান, হাত ধোঁয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় (৩ ফুট), হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

৪- আনসার, গ্রাম পুলিশ, পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

৫- স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয় সাধন পূর্বক ক্যাম্পেইন আয়োজন ও পরিচালনা করতে হবে।

এ সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সার্বিক সহযোগিতা ও অংশগ্রহণকারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের জন্য ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সফল করার অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ

গণটিকা কার্যক্রম