ই-কমার্সের অর্থপাচার, বিএফআইইউর পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৫২
ঢাকা: দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থপাচারের বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইউনিট কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি কী, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে এসব বিষয়ে লিখিতভাবে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পৃথক তিনটি রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সব বিষয়ে জানতে চান।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মোহাম্মদ শিশির মনির ও হুমায়ন কবির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ইকমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
আর ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জে কোটি কোটি টাকা আটকে থাকা ৩৩ জন গ্রাহক ডিজিটাল বা ই-প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তৈরির জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী ও অন্য অংশীজনদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন। তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও ই-ওরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির আরেকটি রিট করেন।
আজ (মঙ্গলবার) এসব রিটের শুনানি নিয়ে বিএফআইইউর পদক্ষেপ, ইকর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি এবং ই-কমার্স খাতের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ৮ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস