মুনাফাখোর সিন্ডিকেট-লুটপাটের লাগাম টানুন: সিপিবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৪০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে মুনাফাখোর সিন্ডিকেটের লাগাম টানতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা। একইসঙ্গে লুটপাট সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন সিপিবি নেতারা।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর সিনেমা প্যালেস চত্বরে এক সমাবেশ থেকে সিপিবি নেতারা এ আহ্বান জানিয়েছেন।
সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা মৃণাল চৌধুরী বলেন, ‘দেশের বাজারে হঠাৎ করে একদম অযৌক্তিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। প্রতিদিন পণ্যের দাম বাড়ছে। দেশে খরা নেই, বন্যা নেই। অথচ জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। গরীব, মধ্যবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে আজ নাভিশ্বাস। তাদের আয়ের সিংহভাগ চলে যাচ্ছে খাদ্যের জোগান দিতে। গরীব, শ্রমিক-মজুরদের পরিবারে দুর্বিষহ অবস্থা। অথচ সরকারের কার্যকলাপে মনে হচ্ছে, গরীব-মেহনতি মানুষের জীবনযাত্রার এই সংকট তাদের কাছে কোনো বিষয়ই নয়। তারা আছে উন্নয়নের ফাঁকা বুলি নিয়ে। দুই বেলা পেটে ভাত দিতে না পারলে এত উন্নয়ন দিয়ে মানুষ কী করবে?’
জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা বলেন, ‘আমরা দেখছি, দেশ আজ সিন্ডিকেটবাজদের খপ্পড়ে পড়েছে। বাজারে মুনাফাখোর সিন্ডিকেট, সরকারের ভেতরে লুটপাটকারী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট মানুষের জীবনের সুখ-শান্তি, রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। অথচ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। বাজারে কথায় কথায় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয় সিন্ডিকেট। তুচ্ছ অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায়। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারে না, সরকার যেন মুনাফাখোর সিন্ডিকেটের কাছে নতি স্বীকার করেছে। সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে লুটপাটকারী সিন্ডিকেট আজ বেপরোয়া। কোনো জবাবদিহিতা নেই, প্রতিবাদের স্বাধীনতা নেই।’
‘আমরা সরকারকে বলতে চাই, এখনও সময় আছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বতির লাগাম টানুন। সিন্ডিকেটের লাগাম টানুন। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। অন্যথায় দাবি আদায়ে জনতা দুর্বার সংগ্রাম গড়ে তুলবে,’— বলেন অশোক সাহা।
সিপিবি’র চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল নবীর সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নুরুচ্ছাফা ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উত্তম চৌধুরী, মো. মছিউদৌলা, প্রমোদ বড়ুয়া।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর