বাঁশখালীর পাহাড় কাটা বন্ধে হাইকোর্টের রুল
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৩৬
ঢাকা: চট্টগ্রামের বাশঁখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পাহাড় কাটা বন্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাহাড় কাটার কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পরিবেশ ও বন, স্থানীয় সরকার, পরিবেশ অধিদফতরের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইঁয়া জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
রিটে পরিবেশ ও বন, স্থানীয় সরকার, পরিবেশ অধিদফতরের ডিজি, পরিচালক (এনফোরসমেন্ট), পরিচালক, পরিবেশ অধিদফতর (চট্টগ্রাম), ডিসি ও এসপি-চট্টগ্রাম, বাশঁখালীর ইউএনও ও ওসি, ১০ নম্বর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবুল হক চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, চট্টগ্রামের বাশঁখালীর চাম্বলে ইউনিয়নে শত শত একর পাহাড় কাটা বন্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রামের বাশঁখালীর চাম্বলে ইউনিয়নে শত শত একর পাহাড়ি ভূমি কাটার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগে ১০ নম্বর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুল হক চৌধুরীকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবুও সেখানে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা চলছে। এ কারণে পাহাড় কাটা বন্ধে এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রক্ষায় জনস্বার্থে রিটটি করা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ