কর্ণফুলী টানেলের দুই প্রান্তে সংযোগস্থলের নকশা ১৫ দিনের মধ্যে
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৫৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় কর্ণফুলী টানেলের এক প্রান্তে তিনটি সড়কের সংযোগস্থলের (ইন্টারসেকশন) স্বতন্ত্র নকশা প্রণয়ন হবে ১৫ দিনের মধ্যে। টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে সংযোগস্থলের নকশা প্রণয়ন করবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও আনোয়ারা প্রান্তের নকশা প্রণয়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ও সেতু বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উভয় প্রান্তে ট্রাফিক রুট নির্মাণ সংক্রান্ত কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল ও লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের পর যানবাহনের নিরাপদ ও নির্বিঘœ চলাচলের উদ্দেশ্যে রুট নির্ধারণ করতে কমিটি গঠন করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উভয় প্রান্তে ট্রাফিক রুট নির্মাণ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি করা হয় সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে। নগর পুলিশ ছাড়াও ১০টি সংস্থার প্রতিনিধিকে কমিটির সদস্য করা হয়। মঙ্গলবার কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, নগরীর আউটার রিংরোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, এমএ আজিজ সড়ক গিয়ে মিলিত হয়েছে পতেঙ্গা কর্ণফুলী টানেলের প্রবেশ পথে। নির্মাণাধীন এসব প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষের পর পাঁচটি সড়কের এই মোড়ে যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এছাড়া আনোয়ারা প্রান্তে দুইটি রাস্তার সংযোগস্থল রয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এসব মোড়ে বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান দিয়ে স্বতন্ত্র নকশা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।
সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস সাংবাদিকদের বলেন, টানেলের উভয় প্রান্তের জংশনের নকশা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দিয়ে প্রণয়ন করে কমিটিকে জমা দেওয়া হবে। কমিটি নকশা চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিবে। কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তিহীনভাবে এসব মোড়ে যেন যান চলাচল করতে পারে সেভাবে নকশা প্রণয়ন করা হবে। উভয় প্রান্তে নকশা অনুযায়ী জংশন ম্যানেজমেন্ট করা হবে।’
সিএমপি কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উপ প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. মেহেদী হাসান, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসেন খান, সিইউএফএলের মহাব্যবস্থাপক (এমটিএস) ইস্কান্দার সাবের আহাম্মদ, কাফকোর উপ মহাব্যবস্থাপক মো. মনজুর জাহেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আমিরুজ্জামান, ও সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ