Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘প্রাণিখাদ্যে ব্যবহার বেড়ে যাওয়াও চাল আমদানির কারণ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৩০

ঢাকা: দেশে চালের উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হলেও সরকারকে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। এর পেছনে দেশের জনসংখ্যা ও চালের চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকাকে অন্যতম একটি কারণ মনে করছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। একইসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে চালের ব্যবহার বেড়ে যাওয়াকেও তিনি চাল আমদানির অন্যতম কারণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিএআরসি মিলনায়তনে ‘ফার্ম সেক্টর অব বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফোরাম ফর ইনফরমেশন ডিসেমিনেশন অন এগ্রিকালচার (ফিডা) ও সিনজেন্টা বাংলাদেশ লি. এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দেশে চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। গড় উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে। এখন দেশে প্রতি শতাংশ জমিতে ১ মণ করে ধান উৎপাদন হয়। তারপরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে নানা কারণে।

কারণ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে জনসংখ্যা ও চালের চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। অন্যদিকে বছর বছর জনসংখ্যা বাড়ছে, চাষের জমি কমছে। অন্যান্য ফসলের চাষেও জমি ব্যবহার হচ্ছে। দেশে বছরে এখন ৬০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। আগে যে খেতে ধানের চাষ হতো, সেখানেও ভুট্টা চাষ হচ্ছে। একইসঙ্গে চালের নন-হিউম্যান কনজাম্পশন অনেক বেড়েছে। মাছ, পোল্ট্রি, প্রাণিখাদ্য ও স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। সব মিলিয়ে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

ফসলের নতুন নতুন জাত আবাদে উৎসাহ দিলেও এগুলোর স্বাস্থ্যঝুঁকি যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেছেন ড. রাজ্জাক। তিনি বলেন, যে যেভাবে পারছে দেশের বাইরে থেকে নতুন ধরনের ফসলের জাত নিয়ে আসছে, চাষ করছে। এটিকে আমরা উৎসাহ দেই। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে দেখতে হবে, দেশে এসব ফসল চাষে কোনো ঝুঁকি বা স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে কি না। এসব ফসল চাষ আদৌ আমাদের প্রয়োজন আছে কি না, সেটি বুঝে তারপর চাষ করতে হবে।

দেশের কৃষির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ‘ফার্ম সেক্টর অব বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ বইটি ফিডা ও সিনজেন্টা বাংলাদেশ ফেলোশিপের আওতায় প্রকাশিত হয়েছে। বইটির প্রশংসা করে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রাইভেট সেক্টর ও সাংবাদিকদের এ যৌথ উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাই। আমরা কৃষিকে বাণিজ্যিক, আধুনিক ও লাভজনক করতে চাই। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। প্রাইভেট সেক্টরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

ফিডার সভাপতি রিয়াজ আহমদের সভাপতিত্বে বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বারি’র মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক মনিরুল আলম, ফিডার সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবলু, ফিডার সদস্য কাউসার রহমান, সিনজেন্টার ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদসহ অন্যরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর