ঢাকা: বাবা-মায়ের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং গর্ভে থাকাকালে বিভিন্ন সমস্যার কারণে হৃদরোগ নিয়েই ভূমিষ্ঠ হচ্ছে শিশুরা। বর্তমানে ট্রান্সফ্যাটের কারণে তরুণরাও বেশি হারে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগ, শিশু হৃদরোগ বিভাগ এবং চিলড্রেন হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, অসচেতনতা, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থুলতা, আড়ম্বরপূর্ণ জীবন-যাপন, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনাভ্যাস—এসব কারণে শুধু বড়দের হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে তা নয়, শিশু-কিশোর ও নবজাতকদেরও জন্মগত হৃদরোগ দেখা যাচ্ছে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য ধূমপান ত্যাগ, মানসিক চাপ এড়ানো, চিনি ও লবণ যতটা সম্ভব কম খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য। হৃদরোগ চিকিৎসকদের নিজ নিজ গ্রামে রোগীদের সেবাদান ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারে জানানো হয়, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে—হৃদরোগের কারণেই বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বাংলাদেশে হৃদরোগের কারণে শতকরা ২৭ জনের মৃত্যু হয়। আর এর মধ্যে ১০ ভাগই শিশু। দেশে বর্তমানে প্রতি হাজারে ১০ জন শিশু হৃদরোগে ভোগছে।
সেমিনারে অংশ নেন ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুর রহমান, পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. নজরুল ইসলাম খানসহ অন্যান্যরা।