ফরিদপুর সেই দুই ভাইসহ ১০ জনের চার্জশিট গ্রহণ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:২২
ঢাকা: দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এসব তথ্য জানান।
চার্জশিটের অপর ৮ আসামি হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
১০ আসামির মধ্যে রুবেল, বরকত, লেভী ও ফারহান কারাগারে রয়েছেন। অপর ৬ আসামি পলাতক। এদিন আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ১৩ অক্টোবর গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
চার্জশিট গ্রহণ করায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন অনুযায়ী ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ও ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম এবং মো. জাফর ইকবাল, ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন এবং গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু অব্যাহতি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২ হাজার কোটি টাকা পাচার: বরকত-রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
বিচারের জন্য প্রস্তুত ফরিদপুরের বরকত-রুবেলসহ ১০ জনের মামলা
এর আগে গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা চার্জশিট সিএমএম আদালতে দাখিল করেন।
জানা গেছে, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।
সারাবাংলা/এআই/এনএস