রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৩৭
ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগে করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় এ বিবৃতি দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা দিতে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার আরও একটি নজির। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠানোর জন্য অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মহিবুল্লাহকে রোহিঙ্গা শিবিরে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট হয়েছে। এই সরকার দেশে আশ্রিত শরণার্থীদেরকে নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে যে জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই, আইনশৃঙ্খলার কোনো বালাই নেই, তার নিকৃষ্ট প্রমাণ হলো উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের শাসনামলে অপরাধ করেও বিচার হয় না, কিংবা বিচার হলেও সরকারি আনুকূল্যে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায়। ফলে দ্বিগুণ উৎসাহে অপরাধ করতে উৎসাহী হয় তারা। নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের পক্ষে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ যদি সংরক্ষিত এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন, তাহলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ও মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীন, তা সহজেই অনুমেয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, অদক্ষতায় সর্বক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জনগণ, বিদেশি নাগরিক কিংবা শরণার্থী— কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই, নেই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের মান-মর্যাদা যেমন ভুলুণ্ঠিত হবে, তেমনি জানমালেরও কোনো নিরাপত্তা থাকবে না। জনগণ এই অবস্থার পরিবর্তন চায়।’
সারাবাংলা/এজেড/টিআর