Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিডিআরসিএস’র কৌশলগত কর্ম পরিকল্পনা প্রকাশ

সারাবাংলা ডেস্ক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৪৭

ঢাকা: বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের ভবিষ্যত দুর্যোগ পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) কৌশলগত কর্ম পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ প্রকাশিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে কৌশলগত কর্ম পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহহাব, ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুর-উর-রহমান, মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মাদ নাসিম, তুরস্ক দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি মিস গাইজেন আইদিন ইরডেম ও আইএফআরসি’র হেড অব ডেলিগেশন সঞ্জীব কুমার কাফলী। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন পার্টনার ন্যাশনাল সোসাইটির প্রতিনিধি, বিডিআরসিএস বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ‘এই কৌশলগত পরিকল্পনাটি আমাদের অতীত থেকে শেখার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি ভবিষ্যতের চাহিদা, প্রবণতা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গতিশীলতাও বিবেচনা করেছে। আমাদের দৃষ্টি এবং মিশন আইএফআরসি কৌশল ২০৩০ এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। আমাদের কৌশলগত কর্ম পরিকল্পনা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অবদান রাখতে চায়।”

তিনি আরও বলেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বন্যা-ঘূর্ণিঝড়-নদী ভাঙ্গন-কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য মহামারী, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত সংকট, শহুরে বহু বিপত্তি, অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগত অভিবাসন এবং স্থানচ্যুতি এই ছয়টি মানবিক চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা জাতীয় সদর দফতরের চলমান মানবিক কর্ম ও চর্চার পাশাপাশি, জনসাধারণের কাছে মানবিক সহযোগিতা প্রদানে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হিসেবে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানো, মানবিক সেবার সম্প্রসারণ এবং বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি প্রদান সহ বিডিআরসিএস ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি ইউনিটের আওতাধীন জনসংখ্যার নূন্যতম ০.৫% মানুষকে আজীবন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা, ইউনিটের মৌলিক ব্যয় নির্ণয় করা, স্থানীয় উৎস থেকে আয় বৃদ্ধি করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সেসব ব্যয়ভার বহন করা এবং সর্বোপরি নিজ নিজ ইউনিটকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।

সারাবাংলা/একেএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর