‘পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার’
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৫৪
ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগরীতে ভবিষ্যতে বাড়তি পানির চাহিদা পূরণ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন গন্ধবপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পের ইন্টেক পাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার উদ্যোগে গন্ধবপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, সায়দাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ফেইজ-৩) সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ঢাকা নগরবাসী এবং শিল্প কলকারখানায় পানি সরবরাহে কোনো সমস্যা থাকবে না। ঢাকা শহরে বর্তমান ও আগামী দিনে পানির যে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে তা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। মেঘনা নদী থেকে পানি উত্তোলন করে ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ঢাকায় পানি সরবরাহে যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে এটি ২০২৩ সালে সমাপ্ত হবে এবং এখান থেকে প্রতিদিন পঞ্চাশ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মেঘনাসহ বিভিন্ন নদী থেকে পানি ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে দূষণমুক্ত করে নেওয়া হচ্ছে। ওয়াসার দায়িত্ব ঢাকা শহরের বাসাগুলোর ওয়াটার রির্জাভে পানি পৌঁছানো এবং সেটি করতে প্রতিষ্ঠানটি সক্ষম হচ্ছে।’
পদ্মা-জশলদিয়া ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে ঢাকা শহরে যে পারিমাণ পানি আসার কথা সে অনুযায়ী সংযোগ লাইন না থাকায় তা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওই প্লান্টে উৎপাদিত সম্পূর্ণ পানি শহরে নিয়ে এসে মানুষের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। বিদেশি একটি সংস্থা এই সরবরাহ লাইনে অর্থ সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। এটি না হলে সরকার নিজস্ব অর্থায়নেই পানির এই সংযোগ লাইন স্থাপন করবে।’
পদ্মা-জশলদিয়া প্রকল্পের মতো গন্ধবপুর প্রকল্পেও সংযোগ লাইন ছাড়াই প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্পে একই ঘটনা ঘটবে না। কারণ এখানে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং সংযোগ লাইন তৈরির কাজ সমানতালে এগিয়ে চলছে।’
তিনি জানান, মানুষের কাছে পানি পৌঁছে দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা ঢাকাসহ সব ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, পৌরসভাসহ অন্যান্য সংস্থা/প্রতিষ্ঠান নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ফলে দেশে বর্তমানে ৯৮ শতাংশের বেশি মানুষ এখন সুপেয় পানি পাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন তৈরি হচ্ছে। এগুলোতে শিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের কলকারখানা গড়ে উঠবে। যেখানে ব্যাপক পানির প্রয়োজন হবে। এই চাহিদা পূরণ করতেও মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইনটেক পাম্পিং স্টেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। পরে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি জাহাজে করে মেঘনা নদীর দখল ও দূষণ রোধে গৃহীত কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এ সময় ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জার্মানি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত, এডিবি ও কেএফডব্লিউ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম