ত্রিশ থেকে একাত্তর: মেলবন্ধন ঘটবে সিএমপির জাদুঘরে
১ অক্টোবর ২০২১ ১১:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ব্রিটিশ স্থাপত্য শৈলিতে নির্মিত একটি ছোট্ট একতলা লাল ভবন। একই শৈলিতে নির্মিত লাগোয়া আরেকটি লাল একতলা ভবন। ইট-সুরকির আস্তরণে দেওয়ালগুলো প্রায় ১৫ থেকে ২০ ইঞ্চি পুরু। ভবনের প্রবেশপথে কাঠের দরোজা। দুই দেয়ালে আছে খিড়কি। বয়স পেরিয়ে গেছে শত বছর। কিন্তু মাথা নিচু করেনি এখনো।
চট্টগ্রাম শহরের ওয়াসার মোড় পেরিয়ে জিইসির দিকে এগোতেই হাতের বামে দামপাড়া পুলিশ লাইন। প্রথম ফটকের পাশে মধ্যবয়সী যেসব সেগুন গাছ দাঁড়িয়ে আছে, ঠাহর করলে দেখা মিলবে দুই লাল ভবনের, একদম সড়ক থেকেই। নিত্যদিন আসা-যাওয়ার পথে মানুষের চোখে পড়া ভবনগুলো যে কালজয়ী ইতিহাসের সাক্ষী, তা লোকজন জানবে কীভাবে! অথচ ১৯৩০ সালে একটি ভবনের সামনে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে রচিত হয়েছিল স্বাধীনতাকামীদের ইতিহাস, ৪০ বছর পর ১৯৭১ সালে আরেকটি ভবনও সংলগ্ন ফটকে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী পুলিশ সদস্যরা জন্ম দিয়েছিলেন আরেকটি প্রতিরোধের ইতিহাস।
সাধারণ মানুষ দূরে থাক, খোদ দামপাড়া পুলিশ লাইনের নিত্যদিনের বাসিন্দারাই এতদিন জানতেন কি না সন্দেহ আছে যে এই দু’টি ভবন বাঙালির শৌর্যবীর্য আর বীরত্বের ইতিহাসগাঁথা। বইপুস্তকে আছে, কিন্তু জীবন্ত দাঁড়িয়ে থাকা নির্বাক দুই লাল ভবন বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে ইতিহাস রচনা করা মানুষগুলোও।
দুই ভবনের প্রথমটি ছিল ব্রিটিশ পুলিশের অস্ত্রাগার, ১৯৩০ সালে মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে একদল বিপ্লবী সেই অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট করে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। উড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বাধীন ভারতের পতাকা। রচিত হয়েছিল ‘চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে’র ইতিহাস। আবার ১৯৭১ সালের মার্চে ইতিহাসের আরেক যুগসন্ধিক্ষণে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা দ্বিতীয় লাল দালান থেকে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। সেই দালান তখন ব্যবহৃত হতো পুলিশ বাহিনীর ব্যারাক হিসেবে। চলচ্চিত্রের কোনো কল্পকাহিনী নয়, চার দশকের ব্যবধানে বাঙালি সত্যিই এমন দু’টি কালজয়ী ইতিহাস রচনা করেছিল।
১৯৩০ থেকে ১৯৭১— পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা দুই ভবন নিয়ে ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তানিদের প্রতিরোধের ইতিহাসের যূথবদ্ধতা ঘটাচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। দামপাড়ায় নগর পুলিশ লাইনের ভেতরে থাকা এই দুই লাল ভবনকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’। মাস্টারদা সূর্যসেন থেকে বঙ্গবন্ধু, ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা— এমন চেতনা আর অবয়ব নিয়ে আস্তে আস্তে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে সেই জাদুঘর।
জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দামপাড়া পুলিশ লাইনের দু’টি ভবন আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক। একটি ভবন ছিল ব্রিটিশ পুলিশের অস্ত্রাগার। সেই অস্ত্রাগার থেকে মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা অস্ত্র লুট করে স্বাধীন ভারতের পতাকা তুলেছিলেন এবং সূর্যসেন মিলিটারি কায়দার স্যালুট গ্রহণ করেছিলেন। এটা যে কত বড় একটা গৌরবের ইতিহাস, সেটা আমরা এতদিন অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছি।’
‘আবার এর পাশেই আরেকটি ভবন ছিল পুলিশের ব্যারাক। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে এই ব্যারাকের সদস্যরা পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধ করেছিলেন। তৎকালীন পুলিশ সুপারসহ ৮২ জন পুলিশ সদস্য শহিদ হয়েছিলেন। আমরা দুই ইতিহাসের মেলবন্ধন ঘটিয়ে একটি জাদুঘর নির্মাণ করছি। দেরিতে হলেও আমরা আমাদের এই ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে যাচ্ছি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য, এটাই বড় বিষয়,’— বলেন সিএমপি কমিশনার।
চলতি বছরের জুনে সিএমপির তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদর) মইনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে জাদুঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি তিনি চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি হয়েছেন। তিনি সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, দুই ভবন ঘিরে ১৬ হাজার বর্গফুট এলাকায় জাদুঘর নির্মাণের কাজ চলছে। অস্ত্রাগার ভবনটি এখনো অক্ষত আছে। তবে পুলিশ ব্যারাক কিছুটা নড়বড়ে হওয়ায় সেটিকে সংস্কার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলী অনুযায়ী ভবনের যে আদল, সেটাকে অক্ষুণ্ন রাখা হচ্ছে। এছাড়া ব্যারাক ভবনের পেছনে কিছু অংশ বাড়ানো হচ্ছে জাদুঘরের স্থাপনা হিসেবে।
গবেষক জামাল উদ্দিনের লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম শহর’ বইয়ে ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের’ বিষয়টি উল্লেখ আছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল। ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মির (বিপ্লবীদের গঠিত সংগঠন) চট্টগ্রাম শাখার সর্বাধিনায়ক মাস্টারদা সূর্যসেন বিপ্লবী বাহিনী নিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। বিপ্লবীরা দামপাড়া পুলিশ লাইন্স আক্রমণ করে অস্ত্রাগার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র লুট করে। মাস্টারদা সেখানেই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।’
ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা গেছে, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীদের মধ্যে ছিলেন গণেশ ঘোষ, লোকনাথ বল, নির্মল সেন, অনন্ত সিং, অপূর্ব সেন, অম্বিকা চক্রবর্তী, নরেশ রায়, ত্রিপুরা সেনগুপ্ত, বিধুভূষণ ভট্টাচার্য, শশাঙ্কশেখর দত্ত, অর্ধেন্দু দস্তিদার, হরিগোপাল বল, প্রভাসচন্দ্র বল, তারকেশ্বর দস্তিদার, মতিলাল কানুনগো, জীবন ঘোষাল, আনন্দ গুপ্ত, নির্মল লালা, জিতেন দাসগুপ্ত, মধুসূদন দত্ত, পুলিনচন্দ্র ঘোষ, সুবোধ দে, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এবং কল্পনা দত্ত। এদের সঙ্গে সুবোধ রায় নামে ১৪ বছরের এক কিশোরও ছিলেন।
অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের পর রাত পেরোতেই বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম শহর ত্যাগ করেন। জালালাবাদ পাহাড়সহ বিভিন্ন গোপন আস্তানায় আশ্রয় নেন। এরপর চার দিন স্বাধীন ছিল চট্টগ্রাম। পরে ২২ এপ্রিল জালালাবাদ পাহাড়ে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে বিপ্লবীদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তিন ঘণ্টার সেই যুদ্ধে ৭০ থেকে ১০০ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয় এবং ১২ জন বিপ্লবী শহিদ হন।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর সারাবাংলাকে বলেন, ’১৪ থেকে ২২-২৩ বছরের কিশোর-তরুণ, তাদের মধ্যে তরুণীও আছেন— কী অসীম সাহস আর দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছিলেন! এটা নতুন প্রজন্মকে জানানোর তাগিদ থেকেই আমাদের জাদুঘর নির্মাণ করা। একদম সুনির্দিষ্টভাবে আমরা স্কুল শিক্ষার্থীদের আমাদের বিপ্লবীদের বিপ্লবের ইতিহাস জানাতে চাই। তাদের জন্য আমরা সূর্যসেনের জীবনীসম্বলিত ছোট্ট একটি পুস্তিকা বের করব।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ’১৬ থানার ১৬ জন ওসি ও চার জন উপকমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিপ্লবীদের ইতিহাস অনুসন্ধানের জন্য। সূর্যসেন-প্রীতিলতাসহ বিপ্লবীদের ব্যবহার্য কোনোকিছু বা তাদের কোনো স্মৃতি যদি আমরা পাই, সেটা আমরা এখানে রাখব। সূর্যসেনের ফাঁসির মঞ্চের একটি রেপ্লিকা স্থাপন করা হবে। কোলকাতায় আমরা যোগাযোগ করছি। বিপ্লবীদের ইতিহাস আছে— এমন কিছু যদি ছবি হিসেবে বাঁধাই করেও আমরা রাখতে পারি, সেই চেষ্টা করছি। অস্ত্রাগারের ভেতরে বিপ্লবীদের ছবি ও পরিচিতি থাকবে। তাদের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের ইতিহাস লেখা থাকবে।’
গবেষক জামাল উদ্দিনের ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম শহর’ বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের মার্চে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন শামসুল হক। কোতোয়ালি থানার ওসি ছিলেন আব্দুল খালেক। দামপাড়া পুলিশ লাইনের আরআই ছিলেন আকরাম হোসেন। তিন জনই ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীর। তিন জনের সম্মিলিত পরিকল্পনায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশের প্রতিরোধের ইতিহাস রচিত হয়।
২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর ২৮ মার্চ ভোরে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দামপাড়া পুলিশ লাইন আক্রমণ করে। আরআই আকরাম হোসেন পুলিশ সদস্যদের নিয়ে মরণপণ লড়াই করেন। সেদিন শহিদ হন ৫১ জন পুলিশ সদস্য, যাদের সবাই পুলিশ ব্যারাকে ছিলেন সেদিন। একই দিন রেলওয়ে এলাকায় পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর আরেক দফা যুদ্ধ হয়। শহিদ হন ১১ পুলিশ সদস্য। ১২ এপ্রিল আরআই আকরাম হোসেনকে চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লা থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গ্রেফতার করে। ১৭ এপ্রিল এসপি শামসুল হককেও গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে। শেষবারের মতো দুই বীর যোদ্ধার দেখা হয় কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। দু’জনকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাদের লাশও পাওয়া যায়নি।
ওসি আব্দুল খালেককে হত্যার কাহিনী আরও মর্মন্তুদ। ১৬ এপ্রিল তিনি গ্রেফতার হন, যিনি এসপি শামসুল হকের নির্দেশে হানাদার প্রতিরোধে চট্টগ্রামের ছাত্র-যুবকদের হাতে পুলিশের অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। ওসি খালেককে হত্যা করা হয় মধ্যযুগীয় বর্বরতায়। জামাল উদ্দিন লিখেছেন— ’১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম শহরের কোনো প্রত্যক্ষদর্শী যদি শহরের রাজপথে খোলা একখানি জিপ গাড়ির সামনে দু’হাত দু’দিকে দিয়ে বিধ্বস্ত একটা লোককে বাঁধা অবস্থায় হানাদার দস্যুদের গাড়িতে ঘোরাতে দেখে থাকেন, তবে তিনি নিশ্চয়ই বিবস্ত্র লোকটার ওপর খড়িমাটি দিয়ে সাদা অক্ষরে লেখা লাইনটিও পদে থাকবেন— কোতোয়ালির ওসি খালেক অ্যারেস্টেড। সম্ভবত হানাদাররা গ্রেফতারের পর এভাবে আর কোনো বাঙালিকে প্রকাশ্যে রাজপথে প্রদর্শনী সহকারে পাশবিক অত্যাচার করেনি।’
গবেষক জামাল উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ প্রথম দফায় দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে আক্রমণের পর ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। শহিদ হয়েছিলেন ৫১ জন। এসপির বাসভবনের সামনে সম্মুখযুদ্ধে শহিদ হয়েছেন ১১ জন। বাকিরা চট্টগ্রাম শহর ও শহরের বাইরে বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধে অংশ নিয়ে শহিদ হয়েছিলেন। তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে আমি চট্টগ্রামে ৮২ জন পুলিশ সদস্য শহিদ হওয়ার তথ্য পেয়েছি।’
৮২ জন শহিদ পুলিশ সদস্যের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ আছে দামপাড়া পুলিশ লাইনের প্রবেশপথের পাশেই। জাদুঘরের সঙ্গে সেই শহিদ মিনারকেও নতুন আদলে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জাদুঘরের পুলিশ ব্যারাকের অংশে এসপি, ওসি, আরআইসহ সব শহিদের তথ্য রাখার চেষ্টা করছি আমরা, যেন দর্শনার্থীরা বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা পুলিশের এই বীরত্বগাঁথা জানতে পারে।’
মইনুল ইসলাম আরও জানান, জাদুঘরে একটি ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ও গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর চট্টগ্রাম সফরের সব স্মৃতি, ৭ মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণাসহ সব ইতিহাস ফ্রেমবন্দি করে রাখা হবে। প্রবেশপথের পাশে দেয়ালে থাকবে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড। ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লব থেকে মুক্তিযুদ্ধ— সব ইতিহাস সেই বোর্ডে প্রদর্শন করা হবে। অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ইতিহাস নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারিগুলোও সেখানে প্রদর্শন করা হবে।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘ন্যূনতম দর্শনীর বিনিময়ে যে কেউ জাদুঘরে প্রবেশ করতে পারবেন। পুলিশ লাইনের গেট বাদ দিয়ে আলাদা গেট নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি লাভজনক করার কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই, শুধু মেইনটেন্যান্সের খরচটা যেন আমরা দর্শনীর টাকা থেকে তুলতে পারি, সেটিই উদ্দেশ্য হবে। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, যা অর্থ দিয়ে মাপা সম্ভব নয়, সেটা আমরা নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরব। বিভিন্ন স্কুলকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব, তাদের শিক্ষার্থীদের যেন জাদুঘরে এনে ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।’
ছবি: শ্যামল নন্দী
সারাবাংলা/আরডি/টিআর
অস্ত্রাগার লুণ্ঠন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ দামপাড়া পুলিশ লাইন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন মাস্টারদা সূর্যসেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সিএমপি স্মৃতি জাদুঘর