বিদেশি চ্যানেলে বছরে ১২০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন হারাচ্ছে বাংলাদেশ
২ অক্টোবর ২০২১ ২০:৫৯
ঢাকা: বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনমুক্ত কনটেন্ট পরিচালনা না করায় বছরে ১২০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন হারাচ্ছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাত। এর ফলে বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন শিল্প। অন্যদিকে সরকারও বছরে তিনশো কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এমন তথ্য তুলে ধরেছে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)।
শনিবার (২ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞাপনমুক্ত কনটেন্ট চালাতে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিষয়ে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সে জন্য স্বাগত জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংস্থাটির সিনিয়র সহ সভাপতি এবং একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘নীতিমালা ও বিধি অনুসারে বিদেশি চ্যানেলগুলোকে বিজ্ঞাপনমুক্ত কনটেন্ট চালাতে কয়েকবার বলেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটরদের সময় দেওয়া হয়েছে। সবশেষ সরকার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে। সে অনুসারে ১ অক্টোবর থেকে সরকার আইনটি কার্যকর শুরু করেছে। পৃথিবীর সব দেশেই এই আইন বলবৎ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ডিস্ট্রিবিউটর, ক্যাবল অপারেটররা সরকারের কাছে যে সময় চেয়েছে তা সরকার কিভাবে দেখবে সেটা সরকারের বিষয়। এখানে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। তবে আমরা চাই বিজ্ঞাপন পাচার বন্ধ হোক। বিদেশি চ্যানেলগুলোর কারণে বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন, সংবাদপত্র, অনলাইনগুলো ১২০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন খোয়াচ্ছে, তা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে এক চতুর্থাংশ টাকা সরকারের প্রাপ্য।’
এদিকে বিদেশি চ্যানেলগুলোর স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটররা সরকারের কাছে সময় চেয়েছে। এ ঘটনায় আগামী চার অক্টোবর থেকে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কোয়াব। তারা বলছেন, ‘এ ক্ষেত্রে দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর মালিকরা এগিয়ে এলে বিষয়টি সহজে সমাধান হতে পারে।’
এ প্রসঙ্গে মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘আমরা সে উদ্দেশে আমরা কাজ করছি। ক্যাবল অপারেটরদের এখানে ভূমিকা সামান্য, তবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা সরকারকে বলবো তারা স্পোর্টস ও নিউজ চ্যানেলগুলো যাতে একবারে বন্ধ না হয়। সেজন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই।’
সারাবাংলা/জেআর/এমও